বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। তার আগে ৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাজ্য বিধানসভায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট (State Budget 2024) পেশ। বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এর দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে মেলেনি কাঙ্খিত ডিএ (DA)। ওদিকে সুপ্রিম কোর্টে চলছে রাজ্যের ডিএ মামালা। এই আবহে এবারের বাজেট নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরাট প্রত্যাশা রয়েছে। কারণ গত বাজেটে তাদের অতিরিক্ত ৩% ডিএ (Dearness Allowance) এর ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তাহলে এবারও কি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) বাড়ানো হবে? আজ বাজেট পেশের আগে সেই জল্পনাই তুঙ্গে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাজেটে ডিএ বাড়ানো হবে এই আশাতেই রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আবার সত্যিই যদি ডিএ বৃদ্ধি করা হয় তাহলে কত শতাংশ বৃদ্ধি করা হতে পারে সেই তা নিয়েও চলছে তুমুল জল্পনা। তবে এই সবটাই জল্পনা মাত্র। রাজ্য সরকার ডিএ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানায় নি। শুধু তাই নয় রাজ্য সরকারের বাজেটে কী কী বিষয় থাকবে, তা নিয়েও কিছুই আভাস দেওয়া হয়নি। তবে নারী ক্ষমতায়নে জোর দিতে বিভিন্ন প্রকল্পের দিকে নজর দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
লোকসভা ভোটের আগে এই রাজ্য বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হবে কিনা, তা নিয়ে সরকার এখনও কোনও আপডেট দেয়নি। প্রসঙ্গত, গত বারের বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিধানসভায় বাজেটে ডিএ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড-সহ একাধিক বড় ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
২০২৩ এর বাজেট ঘোষণার আগে ৩% ডিএ পেতেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আরও ৩% বাড়িয়ে ৬% ডিএ করা হয় তাদের। তবে সেই নিয়ে খুশি হননি সরকারি কর্মীরা। তাদের ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে। তারপর সম্প্রতি আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে রাজ্য। বর্তমানে ১০% করে ডিএ পান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ওদিকে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত ডিএয়ের পরিমাণ বর্তমানে ৪৬ শতাংশ। যা শীঘ্রই বেড়ে ৫০ শতাংশ হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।
আরও পড়ুন: আজ থেকেই বদলে যাবে আবহাওয়া! ফের শীতের কামড়, দক্ষিণবঙ্গের কোথায় বৃষ্টি? আবহাওয়ার খবর
এই বছরই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ফলে এবারের রাজ্য সরকারি বাজেটে সরকারের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা যে থাকবেই, তেমনটাই মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞেরা। একেই নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ওপর বেশ চাপ রয়েছে, তবে সামাজিক প্রকল্প গুলিও অব্যাহত রাখতে হবে। মনে করা হচ্ছে সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়তে পারে সরকার। তো ঋণের বোঝা সামলে সব মিলিয়ে এই বাজেট পেশ মমতা সরকারের কাছে পরীক্ষার চাইতে কম কিছু নয়।