১৫০ বছরের দীর্ঘ সফর শেষ হচ্ছে! কলকাতা ট্রাম নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার

Published on:

Published on:

kolkata tram(1)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ট্রাম (Kolkata Tram) নিয়ে নিজেদের অবস্থানেই অনড় রাজ্য সরকার। তিলোত্তমার ১৫০ বছরের দীর্ঘ সঙ্গীকে বাঁচাতে ময়দানে নেমেছে ট্রামপ্রেমী সংগঠনগুলি। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চলছে মামলা। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, মহানগরে ট্রামলাইনের উপরে পিচ ঢালা যাবে না। তবে রাজ্য ট্রাম নিয়ে কী ভাবছে তা জানতে চেয়েছে আদালত।

ট্রাম নিয়ে কি অবস্থান রাজ্যের | Kolkata Tram

এর আগে রাজ্য আদালতে জানায়, তারা ট্রাম চালাতে চায় না। তবে এখনও এই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ট্রাম মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে ট্রাম নিয়ে ফের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানালেন, রাজ্য সরকার ট্রাম চালাতে চায় না।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “একটি রুটে ট্রাম থাকবে হেরিটেজ হিসাবে। কলকাতার ধর্মতলা থেকে ময়দান পর্যন্ত সুজ্জিত ট্রাম থাকবে। এর মধ্যে অনেকে সুবিধা থাকবে। যাঁরা কলকাতায় আসবেন তাঁরা ট্রাম চড়তে পারবেন।” তবে তিনি এও বলেন, “বাকি ট্রাম আমরা চালাতে চাই না, আমাদের সরকার চালাতে চায় না।”

মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, “এটার জন্য কোর্টে মামলা হয়েছে। সেখানে কোর্ট ট্রাম নিয়ে সরকারের ভাবনা জানতে চেয়েছে। নয়ত বাকি ট্রাম লাইন তুলে দেওয়া দরকার।” স্নেহাশিসবাবু বলেন, শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা ট্রাম লাইনগুলির জেরে ছোট গাড়ি-সাইকেল-স্কুটি স্কিট করছে। দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তা মসৃণ করা যাচ্ছে না। বাকি যেখানে ট্রাম চলবে না, সেই লাইন তুলে ফেলা দরকার বলে মত পরিবহন মন্ত্রীর।

তিনি আরও জানান, আদালত সরকারকে তার মতামত জানাতে বলেছে আগে, তারপর লাইনে হাত দিতে হবে। কিন্তু কোর্টে ইতিমধ্যেই তারা তাদের মতামত জানিয়েছেন। পূর্বে হাইকোর্টে মামলার বিচারাধীন থাকার সময় ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে মামলা হলে ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ বন্ধ করতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: আগেভাগেই সতর্ক করেছিল ভারত! ভয়াবহ বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে পাকিস্তান, ক্রমশ বাড়ছে সঙ্কট

একইসাথে শহরের রাস্তায় রহস্যজনক ভাবে কে বা কারা ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলেছে বলে মনে করছে রাজ্য, তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে কলকাতা পুলিশকে ছবি-সহ রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই পালটা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য।