বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেয়ে হারানোর শোকে কাতর মা-বাবা। সম্প্রতি, আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডের এক বছর পার হওয়ায় নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তিলোত্তমার মা-বাবা। সেখানেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা পরিস্থিতি। নবান্ন অভিযানেই গুরুতর আহত হন নির্যাতিতার মা। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ তাঁকে মেরেছে। এই নিয়েই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
তিলোত্তমার মায়ের মামলায় কড়া নির্দেশ | Calcutta High Court
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা ওঠে। আগেই তিলোত্তমার মা-র নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রাজ্যের থেকে এনকোয়ারি রিপোর্ট এবং মেডিকেল ডিটেল তলব করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। নির্দেশ, মঙ্গলবার বিকেল চারটের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আরজি করের মূল মামলার সঙ্গে এর শুনানি হবে বলে জানিয়েছিল আদালত।
গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী আইনজীবী বলেন, নবান্ন অভিযানের দিন আক্রান্ত হন তিলোত্তমার মা। তাঁর বিভিন্ন জায়গায় মারের চিহ্ন ছিল। এখনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কপালে এবং পিঠে। মামলাকারীর বক্তব্য শুনে, রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, তিলোত্তমার মা নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত হওয়ার পর, জিডি দায়ের হয়েছিল, তবে কোনও এফআইআর দায়ের না হয়নি। এই নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন তিলোত্তমার মা। সেই মামলারই শুনানি চলছে হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের দিন মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিলোত্তমার মা। অভিযোগ ছিল, পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। পরে চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পান। তবে সেখানেই বিপত্তি।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর রূপ নিল নিম্নচাপ! বৃহস্পতিবার গোটা দক্ষিণবঙ্গে হলুদ সতর্কতা জারি: আবহাওয়ার খবর
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালে প্রথমে যে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, তাতে আঘাত সংক্রান্ত কোনও বয়ান ছিল না। আঘাত নিয়ে রোগীর বয়ান ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। তিলোত্তমার বাবার অভিযোগ, পরে বারবার প্রশ্ন তোলার হলে চিকিৎসকদের তরফে নতুন করে রিপোর্ট বানানো তাতে রোগীর বয়ান রাখা হয়।
কেন প্রথম রিপোর্টে আঘাত সংক্রান্ত কোনও বয়ান ছিল না? এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরই মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।