বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভামঞ্চ থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নির্বাচনের একযোগে তাঁর নিশানা কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং নির্বাচন কমিশনকে। মেয়ো রোডের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না।
রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)
রাজ্যের একাধিক উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের আয় পাঁচ গুণ বেড়েছে। ২০১৩-২০২৩ সালের মধ্যে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষ দারিদ্রসীমার উপরে উঠে এসেছেন। পড়ুয়াদের স্বার্থে একাধিক প্রকল্প রয়েছে সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রী সবুজসাথী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। এছাড়াও তরুণ স্বপ্ন প্রকল্প, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের আওতায় বহু ছাত্রছাত্রী সুবিধা পাচ্ছে বলে জানান তিনি। জয়েন্টের ফলপ্রকাশ বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্য, ‘এতে আমাদের দোষ নেই। যারা কোর্টে যায়, একসঙ্গে কেস কেস করে। আবার এসে আমাদের নামে নিন্দা করে। এরা দুনম্বরি’।
ভাষা বিতর্কে ফের তোপ: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের টাকা বন্ধ করে দেওয়া নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, ‘সবটা তো আমাদের লোক থাকে না। বিভিন্ন জায়গার লোক থাকেন। কেউ কেউ দুষ্টুমি করে, কেউ কেউ মিষ্টিমি করে। আমরা মিষ্টিমি করি, দুষ্টুমি করি না’। ২৬ এর নির্বাচনের আগে বাংলা ভাষা বিতর্কে সম্মুখ সমরে নেমেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। ভিন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক হেনস্থার অভিযোগ তুলে বারংবার সরব হয়েছে রাজ্য। এদিনও ভাষা প্রসঙ্গে বিরোধীদের একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন : আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করে ফেরানো হচ্ছে হাসিনাকে? বিষ্ফোরক দাবি ঘিরে সরগরম বাংলাদেশ
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী: সভামঞ্চ থেকে এদিন মমতা বলেন, ‘আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে অত্যাচার হলে তখন মুখে বুলি ফোটে না। পরশুদিন হাবড়ায় একজন মারা গিয়েছেন। তাঁকেও মহারাষ্ট্রে মারা হয়েছিল।’ কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘কিছু হিংসুটে লোক আছে। দেখলেই জ্বলে আর লুচির মতো ফোলে। এরা হচ্ছে তাই’। তাঁর আরও অভিযোগ, হিংসা করে টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। ‘সেলফিশ জায়েন্ট’ বলে আক্রমণ শানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার ছাড়েন, ‘জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব’।
আরও পড়ুন : ‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া’র শাসানি! CU উপাচার্য বনাম TMCP নেতা, কার শিক্ষাগত যোগ্যতা কত?
এসআইআর বিতর্কে একাধিক বার নির্বাচন কমিশনকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। কেন্দ্রীয় এজেন্সির পাশাপাশি কমিশনকেও নিশানা করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু বাচ্চারা ললিপপ খেলে মানায়। কিন্তু বড়রা কোনও পার্টির হয়ে ললিপপ খেলে মানায় না’।