বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক মাসের ব্যবধানে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দুই ভিন্ন চিত্র দেখল গোটা বাংলা। যেই শেখ শাহজাহানের জন্য রাস্তায় নেমে ইডি পিটিয়েছিল স্থানীয় মানুষজন, সেই এলাকার হাজার হাজার মহিলাই এবার ঝাঁটা, লাঠি হাতে রাস্তায় নেমেছে শাহজাহানের (Seikh Sahajahan) বিরুদ্ধে। তবে কেবল শাহজাহানই নয়, গ্রামের মহিলাদের দাবি এরকম আরও বহু গুন্ডা রয়েছে, ভয়ে যাদের অত্যাচার এতদিন সহ্য করে আসতে হয়েছে তাদের। তাদেরও শাস্তি চাই।
গত দুদিন ধরে শাহজাহানদের মত নেতাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সন্দেশখালির আদিবাসী মহিলারা। পুলিশও তাদের শান্ত করতে অক্ষম। বিক্ষোভরত এক মহিলা বলেন, “আমির গাজি, দেবাশিস, লাল্টু, ওরা কোথায়? কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?।” আরেক মহিলার অভিযোগ, “আমাদের জমি দখল করে রেখেছে। আমাদের বাচ্চাগুলো নিয়ে যায়, বলে চল রাজনীতি করবি, হাতে বন্দুক তুলে দেয় ওরা।”
বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে আরেক মহিলা বলেন, ‘এখানে মেয়েদের কোনও সম্মান দেয়নি। মেয়েদের শেষ করে ফেলেছে। রাত সাড়ে দশটার সময়ে মেয়েদেরকে উঠিয়ে আনত পার্টি অফিসে। আমাদের এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে।” শেখ শাহজাহানদের বিরুদ্ধে এখন একজোট সন্দেশখালির মহিলারা।
৭-৮ ফেব্রুয়ারি দিনভর দফায় দফায় উত্তপ্ত রইল সন্দেশখালি। হাতে বাঁশ, লাঠি, হাতা, খুন্তি হাতে পথে মহিলাদের বিক্ষোভ। কেবল শাহজাহানদের বিরুদ্ধে নয়, মহিলারা ক্ষোভ-বিক্ষোভ উগরে দিল স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। শাহজাহানের বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে লাঠি হাতে মহিলারা। তাহলে এতদিন কেন চুপ করে ছিলেন তারা? এই রণংদেহিরা কেন এতদিন সব মুখ বন্ধ করে সহ্য করেছেন? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের উত্তরে মহিলারা বলেন,’ ভয়ে, গুন্ডাদের ভয়ে।’
তবে এখন তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। আজ তারা প্রকাশ্যেই চিৎকার করে করে বলছেন গ্রামের ‘গুন্ডাদের’ নাম। লাঠি হাতে বিক্ষোভ দেখানো এক মহিলা বলেন, “কেবল শাহজাহানই নয়, লাল্টু বোস, উপপ্রধান পিন্টু বোস, আমির গাজি, রঞ্জু এরকম অনেকে আছে। শিবু হাঁসদা, উত্তম সর্দার সব মিলে আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়েই দিয়েছে। এরা সব বাইরে থেকে লোক ঢোকায়। ”
আরও পড়ুন: ফের এতটা DA বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের! কবে থেকে মিলবে? আপডেট জানলে খুশি হবেন
অভিযোগ, পুলিশ সব জেনেও কোনো পদক্ষেপ করছে না। এত দিন পুলিশ কোথায় ছিল? কেন ক্রমাগত অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে তাদের! এক পুলিশ কর্তা এসে বলেন, “কেস হয়েছে”, তাহলে কেন গ্রেফতার হয়নি?” উত্তর দিতে ব্যর্থ পুলিশ কর্তা। পুলিশকে ঘিরে গ্রামের ‘গুন্ডা’দের শাস্তির দাবিতে চলে বিক্ষোভ।