বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমরা অনেকেই রয়েছি যারা যাতায়াতের জন্য বেছে নিই ট্রেনকে। কাজের তাগিতে হোক কিংবা ঘুরতে যাওয়া, ট্রেন ছাড়া আমাদের চলে না। সস্তায় আরামদায়ক সফরের জন্য আমাদের সবার পছন্দ ট্রেন। তবে ভারতীয় রেলের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানতে ইচ্ছা হয়।
রেল ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমরা মাঝেমধ্যেই প্রতিবেদনে আলোচনা করি। লোকাল ট্রেনে শৌচালয় থাকে না। তবে যেগুলি দূরপাল্লার ট্রেন সেখানে থাকে শৌচালয়। শৌচকর্মের প্রয়োজন পড়লে আমরা সেগুলি ব্যবহার করতে পারি। তবে আপনারা হয়ত লক্ষ্য করে দেখেছেন, ট্রেনের ইঞ্জিনে শৌচালয় থাকে না।
আরোও পড়ুন : মাধ্যমিক পাশ করলেই লটারি! পড়ুয়ারা পাবে স্মার্টফোন, শর্ত সহ বিরাট ঘোষণা রাজ্য সরকারের
এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে তাহলে লোকো পাইলটরা কোথায় শৌচকর্ম করে থাকেন?বিষয়টি নিয়ে একজন লোকো পাইলট সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা করেছেন। তিনি বলছেন, ট্রেন গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হওয়ার আগেই লোকো পাইলটরা শৌচকর্ম সেরে নেন। আগামী দু-তিন ঘন্টা যাতে শৌচালয় ব্যবহার করতে না হয় সেই জন্য এটি করতে হয়।
আরোও পড়ুন : ‘দেখা মাত্রই গুলি’, অবৈধ মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র উত্তরাখণ্ড, মৃত ৪, আহত শতাধিক
যখন কোনও স্টেশনে ট্রেন থামে, তখন লোকো পাইলটরা শৌচকর্ম সারতে পারেন। তবে চলন্ত ট্রেনে শৌচকর্ম করা সম্ভব নয়। যদি গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে একটি বিশেষ পদ্ধতি তাদের মেনে চলতে হয়। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে লোকো পাইলটকে খবর দিতে হয় কন্ট্রোল রুমে। সেখান থেকে নিতে হয় পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন থামানোর অনুমতি।
ট্রেন পরবর্তী স্টেশনে এলে সেখানে শৌচকর্ম সারতে পারেন লোকো পাইলট। তবে পরবর্তী স্টেশন আসতে যদি বেশ অনেকটা সময় লাগে, তাহলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে লোকো পাইলট লাইনের ধারে শৌচকর্ম সারতে পারেন। সেক্ষেত্রে কন্ট্রোল রুমের অনুমতি নিয়ে ট্রেনের গতি কমাতে হয়।