বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব মনে করেন ঔরঙ্গজেব মন্দির ভেঙে তৈরি করেছিলেন মসজিদ। এমনকি ইতিহাসবিদের বক্তব্য, এর জন্য দরকার নেই কোনও সার্ভে করার। বামপন্থী মনোভাবাপন্ন এই ইতিহাসবিদের ধারণা, বারাণসী এবং মথুরাতেও মন্দির ভেঙে মুঘল সম্রাট তৈরি করেছিলেন মসজিদ।
এই কথার উল্লেখ রয়েছে ইতিহাসের বইতেও। একটি সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপচারিতায় ইরফান হাবিবের মন্তব্য, ‘৩০০ বছর আগে একটি ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেটিকে শুধরে নেওয়ার জন্য আইন সংশোধন করা বাধ্যতামূলক। ঔরঙ্গজেবই একমাত্র মুঘল সম্রাট ছিলেন যিনি মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। চূড়ান্ত অন্যায় করেছিলেন তিনি।’
আরোও পড়ুন : চলন্ত ট্রেনে কোথায় শৌচকর্ম করেন লোকো পাইলটরা? অধিকাংশ মানুষেরই অজানা এই উত্তর
তিনি আরোও বলেন, ‘ঔরঙ্গজেবের যদি মসজিদ নির্মাণ করতেই হত তবে যে কোনও জায়গায় তা করা যেত। মন্দির ভেঙে সেই স্থানেই মসজিদ তৈরি করার কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না।’ এর সাথে এই ইতিহাসবিদের প্রশ্ন, ‘ঠিক তেমনই মন্দিরও যে কোনও জায়গাতেই নির্মাণ করা যায়। তার জন্য কি মসজিদ ধ্বংস করে দেওয়ার দরকার আছে?’
আরোও পড়ুন : ‘এত টাকা আসছে কোথা থেকে?’, লক্ষীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ বৃদ্ধিতে অর্থনীতিকদের প্রশ্নের মুখে মমতা
বামপন্থী এই ইতিহাসবিদ বলছেন, ভারতের সব ধর্মীয় স্থানগুলি সুরক্ষিত প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ অ্যাক্ট ১৯৯১-এর আওতায়। ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংসের কথা এই আইন বলে না। ইরফান হাবিব মনে করেন, দেশের সংবিধান আমাদের যে অধিকার দিয়েছে, সেগুলি আমাদের রক্ষা করা একান্ত কর্তব্য। এই ইতিহাসবিদের আরো সংযোজন, ‘এমন ঘটনাও ঘটেছে, দেশে বহু বৌদ্ধ মনাস্ট্রি ভেঙে মন্দির তৈরি হয়েছে।
তার কথায়, ‘এবার কি সেই মন্দিরগুলো ভেঙে দেওয়া হবে? এখন সেখানে হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয়ই উপাসনা করে। ঔরঙ্গজেব তাঁর আমলে বীর সিং বুন্দেলার তৈরি মথুরার মন্দির ভেঙে ফেলেছিলেন। সেখানে একটি মসজিদ তৈরি করেন। এমনকী, কাশীতেও ঔরঙ্গজেব মসজিদ তৈরির জন্য মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। ইতিহাস বইতে তারিখ সহ এই বিষয়গুলি উল্লেখ রয়েছে। ফলে সন্দেহের কোনও অবকাশই নেই।’