বেকারত্ব বৃদ্ধির জ্বালা! অবসাদে চরম সিদ্ধান্ত বরাহনগরের ছাত্রের, কাঠগড়ায় রাজ্য সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : মন খারাপ বলে যাকে আমরা দূরে সরিয়ে রাখি, অজান্তে সেই মন খারাপই কবে যেন ডিপ্রেশনে (Depression) পরিণত হয়ে যায়। যার জেরে প্রাণ হারায় কত শত মানুষ। এই যেমন এবার ডিপ্রেশনের জেরে প্রাণ হারাল বরানগরের (Baranagar) পিকে সাহা লেনের বাসিন্দা সৌম্যদীপ পাল (২২) (Soumyadip Paul)। অত্যন্ত চাপা স্বভাবের এই ছাত্রের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার সহ গোটা এলাকা।

পুলিশ সূত্রে খবর, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজের এই ছাত্র একটি চিঠিও লিখে গেছেন তিনি। ঐ চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আজকের দিনে মানুষ আসল প্রতিভার কদর করেনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নোংরা মিমসের রিচ তরতরিয়ে বাড়ে অথচ আসল প্রতিভাবান শিল্পীরা দাম পায়না। এসবের মাঝে তারও পড়াশোনা হচ্ছিলনা। যদিও এই চিঠি থেকে তার মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার নয় বলেই জানাচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

তবে চিঠিতে তিনি কেবল এটুকুই লেখেননি। রাজ্যে চাকরির হাল হকিকত থেকে শুরু করে দুর্নীতি সবকিছুরই উল্লেখ করেছেন তিনি। আজকের দিনে বেকারত্বের সমস্যা চরমে। এমন একটা পরিস্থিতিতে পরিবারের সমর্থন থাকলেও চাকরির কোনও গ্যারান্টি নেই। এই দুর্বিষহ পরিস্থিতির কথাই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সৌম্যদীপ পাল। যার পর থেকে বিরোধীদের তোপের মুখে শাসকদল।

আরও পড়ুন : ‘দেখা মাত্রই গুলি’, অবৈধ মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র উত্তরাখণ্ড, মৃত ৪, আহত শতাধিক

সূত্রের খবর, অঙ্ক ভালোবাসতেন প্রয়াত সৌম্যদীপ। তবে হালফিলের সময়ের অবস্থা দেখে দিন দিন নিজের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। আর তাই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন সৌম্যদীপ। জানা যাচ্ছে, বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি। দিনরাত এইসব চিন্তাই ঘুরপাক খেত তার মাথায়। এইদিন বাড়িতে কেউ না থাকায় চিঠি লিখে আত্মঘাতী হন তিনি‌।

আরও পড়ুন : মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই মাইক বাজিয়ে নাচ, গান তৃণমূলের সায়ন্তিকার! মেলার উদ্বোধন ঘিরে ক্ষোভে জনতা

বাড়ির লোক ফিরে এলে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্যে কামারহাটি সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। এবং এই ঘটনার জন্য শাসকদলের ব্যর্থতাকেই দায়ি করছে গোটা বাংলা। দূর্নীতির করাল গ্রাস আর কত সৌম্যদীপের জীবন নেবে? জানতে চাইছে সমাজ।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর