বাংলাহান্ট ডেস্ক:- ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা ভারতে (India) দু’চাকার যানবাহনের জন্য নতুন ট্রাফিক নিয়ম (Traffic Rules) চালু হতে চলেছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে এই নিয়ম কার্যকর করছে। মূল লক্ষ্য হল পথ দুর্ঘটনা কমানো, চালকদের মধ্যে বেপরোয়া গতি রোধ করা এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলা আরও জোরদার করা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার বড় অংশের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে বাইক ও স্কুটারের মতো যানবাহন। তাই এবার কঠোর শাস্তির মাধ্যমে চালকদের আইন মানতে বাধ্য করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
দেশজুড়ে নয়া ট্রাফিক নিয়ম (India)
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো, অতিরিক্ত গতি, তিনজন একসঙ্গে চড়া বা সিগন্যাল ভাঙার মতো অপরাধে আগের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি জরিমানা ধার্য করা হবে। প্রশাসন স্পষ্ট জানাচ্ছে, কঠোর শাস্তি ও বাড়তি জরিমানা বেপরোয়া ড্রাইভিং নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হবে। নিয়ম ভাঙলে সরাসরি লাইসেন্স বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। বারবার আইন অমান্য করলে তিন মাসের জন্য লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হবে। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক ধরা পড়লে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য হতে পারে, যা সংশ্লিষ্ট চালক বা অভিভাবকের উপর চাপানো হবে। সরকারের দাবি, এর ফলে নাবালকদের হাতে বাইক চালানোর প্রবণতা কমবে এবং হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কবাণ প্রতিহত করবে দেশ! এই ৫ টি উপায়ে “ধাক্কা” সামলাবে ভারত
সচেতনতা ও নজরদারি বাড়ানো, নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগে কেন্দ্র ও রাজ্যের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো হবে যাতে চালকরা নিয়ম ভাঙার পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন। সরকার জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বিশেষত দুই চাকার যানবাহনের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি, তাই দায়িত্বশীলভাবে চালনা ও ট্রাফিক আইন মেনে চলা সময়ের দাবি। শুধু শহরেই নয়, জাতীয় সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তাতেও বাড়ানো হবে নজরদারি। অর্থাৎ, হাইওয়ে পুলিশ এবং স্থানীয় ট্রাফিক দফতরের যৌথ নজরদারির মাধ্যমে নিয়ম কার্যকর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খরচ হবে ১২,০০০ কোটি টাকারও বেশি! ভারতে শুরু হচ্ছে ৪ টি নতুন রেল প্রকল্প, বিহার-আসামে নতুন লাইন
রাজ্যভেদে আলাদা জরিমানার হার, প্রশাসনের তরফে মোটরচালকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যভেদে সংশোধিত জরিমানার তালিকা খতিয়ে দেখতে, কারণ স্থানীয় ট্রাফিক দফতরের নিয়ম অনুযায়ী কিছু অপরাধে জরিমানার পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। তবে মূল কাঠামো এক থাকলেও জরিমানার অঙ্ক রাজ্যভেদে বাড়তে বা কমতে পারে।
সরকারের দাবি, কঠোর আইন কার্যকর হলে পথ দুর্ঘটনা রোধে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। নিয়মিত নজরদারি, প্রচারাভিযান ও শাস্তির মাধ্যমে দায়িত্বশীল ড্রাইভিং নিশ্চিত করাই এই নতুন উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।