বাংলা হান্ট ডেস্ক: টিম ইন্ডিয়ার (India National Cricket Team) তারকা ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) এবার একটি বড় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে “জয় শ্রী রাম” এবং “আল্লাহ হু আকবর” হাজার বার বলার মধ্যে কোনো ক্ষতি নেই। কারণ এতে কোনো পার্থক্যও নেই। নিউজ 18-এর সাথে সাক্ষাৎকারের সময়ে মহম্মদ শামি এই বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ধর্মেই ৫ থেকে ১০ জন এমন পাবেন যাঁরা বিপরীত ধর্মের মানুষকে পছন্দ করবেন না। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।”
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ৩৩ বছর বয়সী মহম্মদ শামি বর্তমানে গোড়ালির চোট থেকে সেরে উঠছেন। মূলত, চোটের কারণেই, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। এদিকে, ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উইকেট নেওয়ার পর যাঁরা বলেছিলেন যে শামির “সাজদাহ” (ইসলামিক প্রার্থনার ভঙ্গি) করা উচিত নয় তাঁদের বিষয়েও তীক্ষ্ণ মন্তব্য করেছেন মহম্মদ শামি।
“রাম মন্দির তৈরি হলে জয় শ্রী রাম বলতে অসুবিধা কি”: মহম্মদ শামি জানান, “যখন প্রণামের কথা আসে…. যদি রাম মন্দির তৈরি হয় তাহলে জয় শ্রী রাম বলতে সমস্যা কি…. এক হাজার বার বলুন। আমাকে যদি আল্লাহ হু আকবর বলতেই হয়, আমি এক হাজার বার বলব… এতে কি কোনো পার্থক্য আছে?” এর আগে, শামি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেছিলেন যে, কেন তিনি তাঁর দুই হাঁটু ধরে মাটিতে বসেছিলেন। যেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তাঁকে “সাজদাহ” করছিলেন বলে দাবি করেন।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের পরও হইচই ছিল: মহম্মদ শামি জানান, “আমার মনে হয় আমি একটানা পঞ্চম ওভার বল করছিলাম এবং আমার সামর্থ্যের বাইরে চেষ্টা করে বল করছিলাম। আমি ক্লান্ত ছিলাম। বল বারবার প্রান্তে ছিল, হয়তো সেই কারণেই আমি পঞ্চম উইকেট পেয়ে হাঁটু গেড়ে বসে গিয়েছিলাম। কেউ একজন আমাকে ধাক্কা দিলে আমি একটু এগিয়ে যাই। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। লোকে ভেবেছিল আমি ‘সাজদাহ’ করতে চাই, কিন্তু করিনি। তাঁদের জন্য আমার একটাই উপদেশ, দয়া করে এই ধরণের কথা বন্ধ করুন।”
আরও পড়ুন: রেলের বড় পদক্ষেপ! যাত্রীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে পাল্টানো হল ২৩,০০০ ICF কোচ, পরিবর্তে পরিষেবায় LHB কোচ
“আমি কাউকে ভয় পাই না”: উল্লেখ্য যে, বিশ্বকাপের মঞ্চে মাত্র ৭ ম্যাচে ২৪ টি উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার হয়েছেন শামি। তিনি বলেন, “প্রথমত…এই কারণে আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি একজন মুসলিম। আগেও বলেছি, আমি একজন মুসলিম হিসেবে গর্বিত এবং আমি একজন ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। আমার কাছে দেশ সবার আগে। এই বিষয়গুলি যদি কাউকে বিরক্ত করে তাহলে আমার কিছু যায় আসে না।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে DA বৃদ্ধি, তিনটি নতুন ব্রিজ….বাজেটে যা যা পেল বাংলা
“সোশ্যাল মিডিয়া আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়”: শামির মতে, “আমি আনন্দে থাকি, এবং আমি আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করি। আমার কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিতর্কের কথা বললে, আমি এমন ব্যক্তিদের সম্পর্কে চিন্তা করি না যারা কেবল সোশ্যাল মিডিয়াতে গেম খেলতে থাকেন। পাশাপাশি ‘সাজদাহ’ করার বিষয়ে বলি, আমি যদি এটা করতে চাইতাম, তাহলে তা করতাম। এটা নিয়ে অন্য কারোর চিন্তা হওয়া উচিত নয়।”