বাংলাহান্ট ডেস্ক : অর্থ থাকে অনেকেরই। তবে প্রকৃত কোটিপতি তিনি যার মন সুবিশাল। সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক The times of India তাকে ‘প্রকৃত কোটিপতি’ হিসাবে উল্লেখ করেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বনাই গ্রামের বাসিন্দা মলয় দাসের দান করার জমিতে গড়ে উঠল সবংয়ের দমকল কেন্দ্র। মলয় বাবু পেশায় একটি গ্রিল কোম্পানির মালিক।
পঁয়ষট্টি বছরের এই বৃদ্ধ জমি দান করেছেন দমকল কেন্দ্র বা ফায়ার স্টেশন তৈরির জন্য। এই জমিটির বাজার মূল্য কমপক্ষে ১ কোটি টাকা। মলয় বাবুর জীবনের অনুপ্রেরণা তার ঠাকুরদা। ঠাকুরদার দেখানো পথেই কোটি টাকার জমি তিনি অনায়াসে বিলিয়ে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত ৭ই ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করেন সবং-এর দমকল কেন্দ্রটির।
আরোও পড়ুন : ৫০০ বেড়ে হাজার, কবে থেকে মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত টাকা! প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হল সবংবাসীর। মলয় কুমার দাস-কে বুধবার সংবর্ধনা জানান স্বয়ং জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী। সবংয়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, তাঁর স্ত্রী গীতা ভুঁইয়া প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। মানস রঞ্জন ভুঁইয়া জানান, “আমরা থাকি বা নাকি এই প্রতিষ্ঠান থেকে যাবে। আর, মানুষের হৃদয়ে থেকে যাবেন মলয় কুমার দাস।”
আরোও পড়ুন : ৫০০ বেড়ে হাজার, কবে থেকে মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত টাকা! প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ
অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মলয় বাবু বলেন, “আমার দাদু (ঠাকুরদা) গ্রামে হাইস্কুল এবং পোস্ট অফিস তৈরির জন্য জমি দান করেছিলেন। সমস্ত জমি তাঁরই রেখে যাওয়া। আমি এর আগেও একটি প্রাথমিক স্কুলের জন্য জমি দান করেছি। কোনও রাজনৈতিক দল করি না। যখন এলাকায় দমকল করা হবে বলে শুনেছিলাম, তখনই মনস্থির করে ফেলি।আমাদের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যাই।”
জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী বলেছেন, “জমিকে কেন্দ্র করে পারিবারিক সমস্যা বা বিবাদ লেগেই থাকে। কিন্তু, মলয় কুমার দাস দমকল কেন্দ্র তৈরির জন্য এগিয়ে এসে, প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের জমি দান করেছেন। সেই জমিতেই আজ দমকল কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।”