থমথমে সন্দেশখালি, তৃণমূলের গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে মানুষের গর্জন থামাতে জারি হল ১৪৪ ধারা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সময় পেরিয়ে গেলেও সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। শুক্রবার কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালিতে। শাসকদলের বিরুদ্ধে ফুঁসছেন সন্দেশখালির একটি বড় অংশের মানুষ। কেউ কেউ তো সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) কটাক্ষ শানাচ্ছেন। শেষমেষ শুক্রবার রাত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করল পুলিশ।

গত লক্ষ্মীবার থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু করেছে সন্দেশখালির আম জনতা। শুক্রবারও পরিস্থিতি ছিল হাতের বাইরে। এতদিন ধরে চলা অত্যাচারের জবাব চাইতে একজোট হয়েছেন গ্রামের মহিলারা। শুক্রবার দফায় দফায় থানা ঘেরাও করেন জমি রক্ষা কমিটি এবং আদিবাসীদের সংগঠন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ তারা উঠে যায়।

যদিও বিক্ষোভকারীরা জানিয়ে দেয়, তারা সাময়িকভাবে বিক্ষোভ তুলে নিলেও শনিবার সকাল থেকে ফের শুরু হবে আন্দোলন। এই হুঁশিয়ারির পরপরই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় সন্দেশখালি থানার সামনে। প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় এলাকায়। যদিও এসবে আন্দোলনকারীদের থামিয়ে রাখা যাবে বলে মনে করছেনা স্থানীয় মানুষজন।

শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে এলাকা ফের অগ্নিগর্ভ হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। আর তাই আগে থেকেই তৈরি হয়ে থাকতে চাইছেন তারা। এদিকে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার প্রমুখদের অত্যাচার সাধারণ মানুষের মনে যে আগুন জ্বালিয়েছে তা এত সহজে নিভবেনা।

এই আগুন হয়ত তখনই নিভবে যখন শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারদের গ্রেফতার করবে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, শাসকদলের নাকের ডগায় চলে এই সমস্ত অনৈতিক কাজকর্ম। চলে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার। জমি দখল, মারধর থেকে শুরু করে বাড়ির মেয়ে বৌদের তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল গুণ্ডা শেখ শাহজাহানের দলবল। রাতভর চলে শোষণ, ধর্ষণ। আর তাই এবার তাদের গ্রেফতারি চেয়ে সরব হয়েছে নির্যাতিত, অত্যাচারিত গ্রামবাসী।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর