বাংলা হান্ট ডেস্ক : তৃণমূল গুণ্ডা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ফেরার হতেই বুকে বল পেয়েছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আম জনতা। অরাজকতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে নিপীড়িত মানুষগুলো। দাঁতে দাঁত চেপে সকলের একটাই দাবি, যেনতেন প্রকারেন এই ‘ভিলেন’দের গ্রেফতারি চাই! যতক্ষণ না তারা গ্রেফতার হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবেনা বলেই জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যার মধ্যে জোরালো হচ্ছে দুটি নাম।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উত্তম সর্দার (Uttam Sardar) যদি শেখ শাহজাহানের ডান হাত হয় তাহলে বাম হাত হল শিবপ্রসাদ হাজরা (Shibaprasad Hazra)। বিগত কয়েকদিনে তাদের একাধিক কুকর্মের উপর থেকে পর্দা তুলেছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের জোর করে খাটিয়ে পাওনা না মেটানো, জমি দখল, গ্রামের মেয়ে, বৌদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, কোনও অপরাধই বাকি রাখেনি শাহজাহানের এই দুই অনুগামী। এখন প্রশ্ন হল, কে এই দুই নটবর?
সূত্রের খবর, শিবপ্রসাদ হাজরা ছিলেন সন্দেশখালি ২ এর জেলা পরিষদের সভাপতি এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। ওদিকে উত্তম ছিল সন্দেশখালির ১ এর সভাপতি। এদের দুজনকে কাজে লাগিয়েই গোটা সন্দেশখালিতে অন্ধকার নামিয়ে এনেছিল শেখ শাহজাহান। তৃণমূলের হয়ে মিটিং মিছিলের আয়োজন করা থেকে শুরু করে ব্লকের দায়িত্ব সবকিছুই সামলাতো উত্তম। একটা সময় পর জেলা পরিষদের টিকিটও দেওয়া হয় তাকে।
আরও পড়ুন : ‘মা সরস্বতী এখন ‘মা’ কম বৌদি বেশি’, BDO-র মন্তব্যে তোলপাড়! চরম শোরগোল রাজ্যজুড়ে
ব্লকের দায়িত্ব মিলতেই নিজেকে সর্বেসর্বা মনে করতে শুরু করে উত্তম। বাড়তে থাকে গ্রামবাসীর উপর তার অত্যাচারের মাত্রা। স্থানীয় চাষিদের চাষের জমি থেকে শুরু করে বাড়ির মেয়ে-বৌ সবকিছুর উপরেই নজর থাকত তার। স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, জোর জবরদস্তি চাষের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করে সে। কাজ করিয়ে টাকা অবধি দিতনা। টাকা চাইতে গেলেই জুটত মারধর। তৃণমূলের মিটিং মিছিলে জোর জবরদস্তি করে গ্রামবাসীদের টেনে নিয়ে আসত তার লোকজন। না আসতে চাইলেই শুরু হত অকথ্য নির্যাতন।
আরও পড়ুন : লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু হয়ে যাবে CAA! বড় ঘোষণা খোদ অমিত শাহের
অন্যদিকে শিবপ্রসাদের উত্থান হয় সিপিএমের হাত ধরে। তবে পরে দলবদল করে তৃণমূলে যোগদান করেন। স্বাভাবিকভাবেই অল্প দিনের মধ্যে শাহজাহানের নজরে চলে আসেন তিনি। পেয়ে যান পঞ্চায়েতের টিকিট। এরপর তাকে দেওয়া হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পদ। দিনকয়েক পরে জেলা পরিষদের টিকিটও পেয়ে যান তিনি। তারপর থেকেই কাজে কর্মে উত্তমের যোগ্য সতীর্থ হয়ে ওঠে সে। এরপর ২০১৬ সাল থেকে এদের দুজনের হাত দিয়েই সমস্ত কুকর্ম করাত কুখ্যাত শেখ শাহজাহান।