বাংলা হান্ট ডেস্ক : শেষ হল ১৭তম লোকসভা অধিবেশন (17th Lok Sabha Session)। এইদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ক্ষুরধার বক্তব্যে গমগম করছিল সংসদ ভবন। দেশের উন্নয়ন থেকে শুরু করে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সবকিছুই উঠে এল নমোর বক্তব্যে। তিন তালাকের মত নিকৃষ্ট নিয়ম থেকে শুরু ধারা ৩৭০ বাতিল করা এবং সন্ত্রাসবাদের দমন__এই সবকিছু নিয়েই কথা বললেন তিনি। মোদীর কথায়, দেশে এমন অনেক বদল আনা হয়েছে যা ভারতের (India) জন্য ‘গেম চেঞ্জার’।
একইসাথে চলতি অধিবেশনের শেষ ভাষণেও বিরোধীরা রেহাই পেলনা। কটাক্ষ শানিয়ে বলেন লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে থেকেই ‘অনেকে ভীত’। একই সাথে দেশের নারী ও যুব সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। নমোর কথায়, এই পাঁচটা বছর প্রত্যেকের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উঠে আসে ৩৭০ ধারা অবলোপের কথা। অধিবেশনের শেষদিনে এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্ত বললেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদ ভবনে দাঁড়িয়ে জোর গলায় তিনি বলেন, ‘ভূস্বর্গের মানুষের ভয় কেটেছে। এই কাজ আমরা পূরণ করে দেখিয়েছি। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে সামাজিক ন্যায় প্রদানের প্রতিশ্রুতি রেখেছি। আজ আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। দেশমাতৃকা অনেক আতঙ্কবাদীর কারণে রক্তাক্ত হয়েছে। অনেক বীর সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সেই সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা এই সদনেই আইন তৈরি করেছি। এতে দেশের সেনার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’
আরও পড়ুন : ‘যোগী বাংলায় আসলে ফিরতে দেবনা’, জ্ঞানবাপীতে পুজো করার জের, বড় হুমকি সিদ্দিকুল্লাহর
এককথায় নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে দিতে চাইলেন যে, গত পাঁচ বছরে ভারতের তিন মন্ত্র ছিল— সংস্কার, কাজ এবং রূপান্তর। আগামী দিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে এক নতুন উদ্যম তৈরি হয়েছে। প্রতিটি গলি, পাড়ার ছেলেমেয়েরাও বলছে আগামী ২৫ বছরে দেশ বিকশিত ভারত হবে। আমরা কেউ কেউ সেই বিকশিত ভারত তৈরি করার স্বপ্ন নিজেদের সংকল্প হিসেবে তৈরি করে ফেলেছি।’
আরও পড়ুন : থমথমে সন্দেশখালি, তৃণমূলের গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে মানুষের গর্জন থামাতে জারি হল ১৪৪ ধারা
একই সাথে বিরোধীদের কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা সেই সংকল্পে নেই, তারা নিজেদের জীবদ্দশায় সেই বিকশিক ভারতের সাফল্য অনুভব করতে পারবেন।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সামনের সময়ে আমাদের মা-বোনেরা এখানে (সংসদে) বসবেন। এটা দেশের জন্য গর্বের বিষয় হবে।’ শেষবেলায় নরেন্দ্র মোদী আসন্ন ভোট প্রসঙ্গে জানান, তিনি এখন ভোট নিয়ে কিছুটা চিন্তিত থাকলেও তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে, এই নির্বাচনেও দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অটুট থাকবে।