সোমে সুপ্রিম কোর্টে উঠবে DA মামলা, তার আগেই সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর এল!

Published on:

Published on:

dearness allowance(25)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরপর দু’বার পিছিয়েছে শুনানি। বাড়ছিল প্রতীক্ষা। তবে শেষমেশ ভালো খবর সামনে এসেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামীকাল। শোনা যাচ্ছে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ (DA) মামলার শুনানি রয়েছে। ৯৭ নম্বর সিরিয়ালে মামলাটি ওঠার কথা রয়েছে। আগামীকালই ডিএ মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিএ মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমে | Dearness Allowance

ডিএ মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা। সোমবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলাটি বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে উঠবে। তবে আদৌ শুনানি হবে কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও আইনজীবী মহলের দাবি, সোমবারই ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার প্রধান বিচারপতি এবং পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে কোনও সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলা তালিকাভুক্ত নেই। অর্থাৎ এদিন রাজ্যের আইনজীবীদের অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকার সম্ভাবনা নেই। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের এদিন অন্য কোনও বড় মামলা নেই। সেক্ষেত্রে তিনি ডিএ মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

এর আগে এসআইআর (SIR) মামলায় রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল উপস্থিত থাকার কারণে ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে আশাবাদী সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের আশা, ইতিমধ্যে ছয়বার তারা ডিএ মামলায় জয়লাভ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টেও সপ্তমবারের জন্য জয় আসবে।

dearness allowance(23)

আরও পড়ুন: এত তৃণমূল? একাধিক মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ থেকে তৃণমূল কাউন্সিলর! SSC-র ‘দাগি’ তালিকায় ‘শিক্ষক-শিক্ষিকা’দের নাম চমকে দেবে

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জানিয়েছিল, ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএয়ের ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। তবে সেই নির্দেশ না মেনে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে সরকারি কর্মীদের আশা এবারে ১০০% ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে আদালত।

মনে করা হচ্ছে, আগামীকালই আদালত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। সরকারি কর্মীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। তবে রায়দান সঙ্গে সঙ্গেই হবে, নাকি রায়দান স্থগিত রাখা হবে, তা আদালত ঠিক করবে।