ভারতীয়রা তো ক্ষুব্ধই! অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের দেশেও কড়া সমালোচনার সম্মুখীন ট্রাম্প

Published on:

Published on:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের ওপর অত্যধিক শুল্ক আরোপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) নিজেও চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে একটি বড় ভুল হিসেবে বিবেচিত করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে, রাশিয়ান তেলের ক্ষেত্রে ভারতের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ অকার্যকর হবে। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর পাশাপাশি, রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে।

নিজের দেশেই সমালোচনার সম্মুখীন ট্রাম্প (Donald Trump):

এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জন মেয়ারশাইমার বলেন, “এটা আমাদের পক্ষ থেকে একটা বড় ভুল। বিশ্বাস করা কঠিন, কিন্তু কী ঘটছে? (নিষেধাজ্ঞা) ভারতের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। ভারতীয়রা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে না। ভারতীয়রা মাথা নত করবে না।”

Donald Trump faces severe criticism even in his own country.

এদিকে, তিনি ট্রাম্পের (Donald Trump) উপদেষ্টা পিটার নাভারোকেও নিশানা করে বলেন, “পিটার নাভারোর মতো মানুষ ছাড়া আর কেউ এই পদক্ষেপের প্রশংসা করছে না। আমি জানি না বিষয়টি কী এবং এর পরিণতি কীভাবে সুখকর হবে। তাঁরা কী যুক্তি দেবেন যে ভারতীয়রা মাথা নত করতে প্রস্তুত থাকবে এবং ভারতের ওপর আমাদের এতটাই সুবিধা থাকবে যে আমরা তাদের নতজানু করে দেব? এটাই কী যুক্তি? আমি জানি না কে এটা বিশ্বাস করে এবং ভারত এখন পর্যন্ত যা করেছে তা দেখে মনে হচ্ছে এই যুক্তি ভুল।”

আরও পড়ুন: চলতি মাসেই আসছে টাটা গ্রুপের সবথেকে বড় IPO! এই দিন শেয়ার বাজারে করবে “ডেবিউ”

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ট্রাম্প (Donald Trump) প্রথমে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন এবং রাশিয়ান তেল কেনার জন্য জরিমানা আরোপ করেন। পরে তিনি অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। যার ফলে মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে পৌঁছে যায়।সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারত ছাড়া ব্রাজিলই একমাত্র দেশ যার ওপর আমেরিকা এত উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। এমতাবস্থায়, ভারত স্পষ্ট করে বলেছে যে আমেরিকা এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করে। কিন্তু তেল কেনার জন্য ভারতকে টার্গেট করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আর নয় অপেক্ষা! সেপ্টেম্বরেই শুরু হচ্ছে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের পরিষেবা? মিলল বড় আপডেট

জন মেয়ারশাইমার আরও বলেন, “জানুয়ারিতে যখন ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসেন, তখন ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। কারণ আমাদের বিদেশ নীতির মিশনে এটি অন্তর্ভুক্ত যে চিনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত যা ঘটেছে তা হল এই নিষেধাজ্ঞাগুলি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তুলেছে। এদিকে, একটি জার্মান সংবাদপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয়রা আমাদের উপর ক্ষুব্ধ। ট্রাম্প মোদীকে চারবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু মোদী কথা বলতে রাজি হননি। এছাড়াও, মোদী চীন এবং রাশিয়ারও ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন।”