সেনা প্রসঙ্গে ব্রাত্যের মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, ‘পেটানোর’ দাবি নিয়ে বিস্ফোরক আক্রমণ অর্জুন সিংয়ের

Published on:

Published on:

Arjun Singh's reason for beating up Bratya Basu

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্চ খোলা এবং তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ফের রাজনৈতিক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্যেই এই বিতর্কের সূচনা। সেনার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতাদের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে আরও তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এর মধ্যেই ব্রাত্য বসুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)।

এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, সোমবার সেনাবাহিনী যখন তৃণমূলের মঞ্চ ভাঙছিল তখন তাঁর মনে পড়েছিল ১৯৭১ সালের ঢাকার কথা। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পাক সেনার নৃশংস হত্যালীলার প্রসঙ্গ। বিজেপির দাবি, এই মন্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী কার্যত পাক সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার তুলনা করেছেন, যা অপমানজনক এবং দেশদ্রোহিতা।

ব্রাত্য বসুকে ‘পেটানো দরকার’ বলে মন্তব্য করেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)

এই মন্তব্যে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি স্পষ্ট বলেন, “একজন মন্ত্রী কীভাবে ভারতীয় সেনার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনার তুলনা করেন? আমি যদি বিধানসভায় থাকতাম তবে ব্রাত্য বসুকে পেটানো দরকার ছিল।” তাঁর অভিযোগ, ব্রাত্য বসু এবং তাঁর মতো লোকেরা আদতে দেশদ্রোহী।

অন্যদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ভারতীয় সেনার হয়ে কথা বলার জন্য তাঁকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অপর দিকে, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ভারতীয় সেনা দেশের গর্ব, সম্মানের প্রতীক। তাঁর কথায়, “এইসব মন্তব্যে শুধু সেনা নয়, দেশকেও অপমান করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ কি ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাবে নাকি? এসব করতে গিয়ে তৃণমূল এবং এখনকার সরকার দেশবিরোধী হয়ে উঠছে।”

Arjun Singh's reason for beating up Bratya Basu

আরও পড়ুনঃ নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি, কী কী বলা আছে নির্দেশিকায়? জানুন

এতকিছুর পরেও নিজের বক্তব্যের অনড় ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন যে, ইতিহাসের ঘটনা ভুলে যাওয়া যায় না। যদিও তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক থামছে না। যদিও অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) মন্তব্যের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি। তবে, শিক্ষা মন্ত্রীর মন্তব্যে সেনার মর্যাদা নিয়ে যে রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হয়েছে তা আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।