অবৈধ বৃক্ষনিধনের কারণেই ভয়াবহ বন্যা! চার রাজ্য ও কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলল সুপ্রিম কোর্ট, তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাবের দাবি

Published on:

Published on:

Supreme Court slams four states and the Centre for indiscriminate tree felling

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বন্যা এবং অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের চার রাজ্য। বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে, ধসে মৃত্যু হচ্ছে মানুষের, অচল হয়ে পড়ছে পরিবহণ। এই অবস্থায় অবৈধভাবে গাছ কাটার ঘটনাকে একেবারে কাঠগড়ায় তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং চার রাজ্যের প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে বলল শীর্ষ আদালত।

প্রসঙ্গত, মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের পাশাপাশি বন্যার জেরে কার্যত বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লি। যমুনার জল বিপদসীমার উপরে বইছে। নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ এবং ফরিদাবাদে জল ঢুকে পড়েছে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে। গতকাল নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে ৩৪০টি বিমান দেরিতে ওঠা-নামা করেছে।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা ওঠে। আদালত স্পষ্ট জানায়, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন বর্তমান বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। প্রধান বিচারপতি বলেন, “অভূতপূর্ব বৃষ্টিপাত এবং বন্যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অবৈধভাবে গাছ কাটা চলছে।” প্রধান বিচারপতি জানান, “পাঞ্জাবে আস্ত গ্রাম এবং খেত বন্যায় ভেসে গিয়েছে!”

রাজ্য ও কেন্দ্রকে নোটিস আদালতের (Supreme Court)

শীর্ষ আদালত (Supreme Court) চার রাজ্য এবং কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে। জানানো হয়েছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত জবাব জমা দিতে হবে। আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শুনানির সময় তুষার মেহতা বলেন, “আমরা প্রকৃতির সঙ্গে অনেক বেশি অন্যায় করেছি, এখন তার পালটা আঘাত পাচ্ছি।”

Supreme Court slams four states and the Centre for indiscriminate tree felling

আরও পড়ুনঃ রাস্তায় ছড়িয়ে পাকিস্তানের নোট! রহস্যে আতঙ্ক কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এলাকা

প্রকৃতির উপর নির্বিচার আঘাতের ফল যে ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল উত্তর ভারতের ভয়াবহ বন্যায়। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে সরকার এবং রাজ্য প্রশাসন কত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে দেশ।