শতাব্দী প্রাচীন বনেদিয়ানা, চিরাচরিত নিয়ম নয়, কোন রীতিতে হয় কোয়েলের বাড়ির পুজো?

Updated on:

Updated on:

Koel Mallick bari of Bhavanipur is a unique example of durga festival in vaishnavism

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কলকাতার ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ি অর্থাৎ কোয়েল মল্লিকের (Koel Mallick) পুজো বহু পুরনো। শোনা যায় মল্লিক পরিবারের আদি নিবাস ছিল গুপ্তিপাড়ায়। সেখানেই শুরু হয় প্রথম দুর্গাপুজো (Durga Puja)। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কলকাতায় চলে আসার পর বেশ কিছু বছর বন্ধ ছিল এই উৎসব। পরে রাধাগোবিন্দ মল্লিকের পুত্র সুরেন্দ্র মাধব মল্লিক ১৯২৪ সালে আবার এই পুজো চালু করেন।

বৈষ্ণবাচারে দুর্গোৎসবের অনন্য দৃষ্টান্ত ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ি (Koel Mallick)

দুর্গাপূজো বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর এই উৎসব বললে সবার আগে উঠে আসে বনেদি বাড়ির সাবেকি পুজোর কথা। যেখানে একচালা চালচিত্রের প্রতিমা, ডাকের সাজ ও টানা টানা চোখ থাকে মা’য়ের। পাশাপাশি পুরনো বাড়ির গন্ধ মাখা থাকে সেই সমস্ত পুজোতে। আর এই সকল পুরনো ঐতিহ্যকে এখনো বিদ্যমান রেখেছে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের কোয়েল মল্লিকের (Koel Mallick) বাড়ির দুর্গাদালান। ১০১ বছর ধরে দুর্গাপূজার স্মৃতি বিচরণ করে এই দালানে উমার আরাধনা করা হয়।

Koel Mallick bari of Bhavanipur is a unique example of durga festival in vaishnavism

আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন? প্রবীণদের জন্য বেছে নিন এই ৩ স্থান

জানা যায়, কলকাতার ভবানীপুরের মল্লিক (Koel Mallick) বাড়ির পুজো শুরু করেন রাধাগোবিন্দ মল্লিক। মল্লিক পরিবারের আদি নিবাস ছিল গুপ্তিপাড়ায়। সেখানেই প্রথম শুরু হয় মা দুর্গার আরাধনা।যদিও কলকাতায় চলে আসার পর বেশ কিছু বছর বন্ধ ছিল এই পুজো। তবে রাধাগোবিন্দ মল্লিক এর পুত্র সুরেন্দ্র মাধব মল্লিকের হাত ধরে এই পুজো পুনরায় শুরু হয়। চলতি বছরে এই পুজো ১০১ তম বর্ষে পা দিল।

তবে মল্লিক বাড়ির ঠাকুর তৈরি করার বেশকিছু রীতি রয়েছে। এখানে মায়ের কাঠামো পুজো হয়, জন্মাষ্টমীর পরের দিন। এমনকি বাড়ির দালানেই তৈরি করা হয় প্রতিমা। এখনো একচালা ও ডাকের সাজে তৈরি করা হয় দেবী দুর্গাকে। পাশাপাশি এখানে বৈষ্ণব মতে পুজো করা হয়।

অর্থাৎ এখানে কোনরকম বলির নিয়ম নেই। এছাড়া মহালয়ার পরের দিন যখন মা চন্ডির ঘট বসে তখন থেকেও শুরু হয় চণ্ডীপাঠ। সেই সঙ্গে মায়ের (Maa Durga) বিসর্জন পর্যন্ত নিরামিষ খাওয়া দাওয়ার রীতি রয়েছে। দশমীতে মায়ের বিদায়ের পর আমিষ ভোজন হয়। এছাড়াও দশমীর দিন সকালবেলা বাড়ির সকল মহিলারা প্রথমে মাকে বরণ করেন। তারপর শুরু হয় সিঁদুর খেলা।