ঝাড়খণ্ডে যৌথ বাহিনীর সাফল্য, নিহত ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মাওবাদী নেতা, মাথার দাম কত ছিল জানেন?

Published on:

Published on:

Jharkhand most wanted Maoist leader killed

বাংলাহান্ট ডেস্ক:- ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চাইবাসায় বড় সাফল্য পেল যৌথ বাহিনী। মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী নেতা (Maoists) অমিত হাঁসদা রবিবার ভোরে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ জেলা পুলিশ, সিআরপিএফ, কোবরা-২০৯ ও ঝাড়খণ্ড জাগুয়ার বাহিনী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) পারস রানার নেতৃত্বে সরান্ডা জঙ্গলে তল্লাশি চালাতে যায়। সকাল ৮টা নাগাদ নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মাওবাদীরা নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় যৌথ বাহিনী। গোলাগুলির জেরে মাওবাদীরা জঙ্গলের গভীরে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় অমিত হাঁসদার মৃতদেহ।

ঝাড়খণ্ডে খতম মাওবাদী নেতা (Jharkhand)

ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএলআর রাইফেল, বিস্ফোরক এবং অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা জঙ্গল জুড়ে এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, নিহত অমিত হাঁসদা ওই অঞ্চলে মাওবাদী কার্যকলাপের অন্যতম প্রধান সংগঠক ছিলেন। তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) জোনাল কমিটির কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সরান্ডা অরণ্যে সক্রিয় ছিলেন। ঘন জঙ্গল ও দুর্গম ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল বহু বছর ধরেই মাওবাদীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত। যৌথ বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও এখানে নতুন আস্তানা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল মাওবাদীরা।

আরও পড়ুন:-ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে টানাপোড়েন কাটিয়ে বরফ গলার ইঙ্গিত! বিদেশ মন্ত্রকের মন্তব্যে জল্পনা

গত ৩ সেপ্টেম্বর (Jharkhand) পালামৌ জেলার কেদাল জঙ্গলে মাওবাদী তৃতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির জোনাল কমান্ডার শশীকান্ত গাঞ্জুর নেতৃত্বে হওয়া গুলির লড়াইয়ে দুই পুলিশকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। তাঁর মাথার দামও ১০ লক্ষ টাকা ছিল। যদিও ওই অভিযানে তাঁকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তাই অমিত হাঁসদার মৃত্যু মাওবাদী দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য হলেও শশীকান্ত এখনও অধরা রয়ে গিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করাই সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)-সহ বিভিন্ন রাজ্যে লাগাতার অভিযান চলছে। গোয়েন্দাদের মতে, এখন ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্তবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি অঞ্চল মাওবাদীদের বড় ঘাঁটি হয়ে উঠেছে। সেখানেও প্রায় ৩ হাজার আধাসেনা মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তা আধিকারিকদের আশঙ্কা, অভিযানের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাওবাদীরা সাধারণ গ্রামবাসীদের উপর আক্রমণ বাড়াতে পারে।

Jharkhand most wanted Maoist leader killed

আরও পড়ুন:- সমাজের লাল চোখ উপেক্ষা করে জয়লাভ, ১৩ বছরে পা দিল সোনাগাছির দুর্গোৎসব

তবে চাইবাসার (Jharkhand) এনকাউন্টারে অমিত হাঁসদার মৃত্যু নিঃসন্দেহে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বড় সাফল্য। সরকারের মতে, এই অভিযানই প্রমাণ করছে যে লাগাতার চাপে মাওবাদী সংগঠনগুলি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।