সুখের সংসার ছেড়ে ভিক্ষাবৃত্তি, উপার্জনের টাকা দিয়ে যা করেন ওই বছর ৭০’র মহিলা! জেনে প্রণাম করবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বয়স আনুমানিক ৭০। নাম শান্তিলতা বোস। একসময় থাকতেন নদীয়ার দত্তপুলিয়ায়। কিন্তু, আজ ভাগ্যচক্রে আশ্রয় নিয়েছেন তারাপীঠ মন্দিরের বাইরে। নদীয়ার বাড়িতে ছেলে,বৌমা এবং একটি মাত্র নাতনিকে নিয়ে ভরা সংসার থাকলেও আজ করতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি। এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কী কারণে এই বৃদ্ধাকে আজ ভিক্ষা করতে হচ্ছে?

সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য বৃদ্ধা নিজেই দিয়েছেন। তিনি বলেন, ” আমার বাড়ি নদীয়াতে। আজ থেকে ১৩ বছর আগে একদিন আমি আমার ছেলেকে জানাই আমি আমার ছোট মেয়ের বাড়ি যাবো। সেই বলে আমি স্টেশনে এসে ‘মা তারা এক্সপ্রেস’ ট্রেন ধরে সোজা পৌঁছে যায় রামপুরহাট আর সেখান থেকে তারাপীঠ।”

আরোও পড়ুন : পুলিশের গাড়ি আটকে চাঁদা আদায়! এক ভিন্ন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন SI, হাতড়ালেন আবেগঘন স্মৃতি

পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, “পরিবারের সঙ্গে কোনও ঝামেলা নেই আমার। তারা আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসে কিন্তু আমি মা তারার টানে তারাপীঠে ছুটে এসেছি। আমাকে আমার ছেলে তারাপীঠ থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিলেন কিন্তু আমি যাইনি, আমার ইচ্ছে আমার শেষ জীবন আমি মা তারার কাছেই কাটাবো।”

আরোও পড়ুন : দিঘার কাছে মিসাইল টেস্ট, DRDO-র উপর রেগে কাই গ্রামবাসীরা! তুমুল বিক্ষোভ এলাকায়

তবে তিনি তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে কি করেন সেই বিষয়েও মুখ খুলেছেন। আসলে, তিনি কষ্ট করে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে যে টাকাটা রোজকার করেন, সেই টাকা দিয়েই মা তারার জন্য ফুলের মালা কিনে পুজো দেন। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত অর্থ হাতে আসলে সেই টাকা দিয়ে মায়ের জন্য শাড়িও কেনেন। নিজের জন্য রাখেন না কিছুই।

IMG 20210728 150330

জানা গিয়েছে, সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত মন্দিরের বিভিন্ন সেবায়েতরা আবার কখনও পর্যটকরা তাঁকে খাবার দিয়ে থাকেন। পরনে সাদা শাড়ি চোখে চশমা পরিহিত এই বৃদ্ধার হাতে থাকে একটি বই এবং তার সামনে একটি বাটি। সেখানেই কেউ ইচ্ছে করলে ২ টাকা, ৫ টাকা দিয়ে থাকেন। এভাবেই চলে ভিক্ষাবৃত্তি। এভাবেই দিব্যি সুন্দর কাটছে মা তারার কোলে তার জীবন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর