বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ আট বছর পর রবিবার নির্বিঘ্নে হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) নবম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষা। নতুনদের পাশাপাশি ২০১৬ সালের চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরাও এদিন পরীক্ষায় বসেছেন। তবে ‘যোগ্য’ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কি কোনও দাগীও পরীক্ষা দিয়েছে? সম্ভাবনা এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। যদি তা ভুল করেও হয়ে থাকে, তাহলে এই পরীক্ষা পরিণতি কী হতে চলেছে? এই নিয়েই বড় মন্তব্য করলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)।
কোন আশঙ্কার কথা শোনালেন আইনজীবী? Bikash Ranjan Bhattacharya
এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আইনজীবী বলেন, “আমাদের মতে, দুর্নীতিগ্রস্তদের যে তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশন দিয়েছে, তা অসম্পূর্ণ। চাকরিপ্রার্থীদের ভিড়ে কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত লুকিয়ে রয়েছে কিনা, অর্থাৎ যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, যদিও তাঁরাও পরীক্ষা দিয়ে থাকেন, তাহলে তা বাতিল হবে। আর তার দায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকেই নিতে হবে।”
পরীক্ষা তো নির্বিঘ্নে হয়েছে, তবে অনেক পরীক্ষার্থীর মধ্যেই এখনও আশঙ্কার মেঘ। সঠিকভাবে, কোনও দুর্নীতি ছাড়াই সবটা হবে তো? এমনই প্রশ্ন তুলছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। এই প্রসঙ্গ উঠতে আইনজীবী আরও বলেন, “কারচুপি কোন স্তরে হবে, কোথায় হবে, সেটা তো নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। নিজেদের অতীত অভিজ্ঞতার কারণে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না।”
আরও পড়ুন: আজ থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে, পুজোর আগে কতদিন চলবে দুর্যোগ? আবহাওয়ার খবর
বিকাশবাবুর কথায়, “যেভাবে এসএসসি বিগত দিনে দুর্নীতি করেছে, যেভাবে এখনও তাঁরা দুর্নীতিকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন, এখনও মুখ্যমন্ত্রী যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের পক্ষে সওয়াল করছেন, তাতে সামগ্রিভাবে এই আশঙ্কা থাকতেই পারে। এই আশঙ্কা ভিত্তিহীন তা বলা যায় না।” উল্লেখ্য, এসএসসি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট, বার বার স্পষ্ট করে রীতিমতো রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, না দাগিরা কোনও ভাবেই পরীক্ষায় বসতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে।
উল্লেখ্য, রবিবার ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় বসেন মোট ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন। মোট ৬৩৬ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়।