প্রতিরোধ নয়, ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করবে নতুন ভ্যাকসিন, দাবি ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকারের

Updated on:

Updated on:

Cancer Vaccine will destroy cancer cells not prevent them claims Dr. Diptendra Sarkar

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাশিয়ান মুকুটে জুটলো নতুন এক পালক। সম্প্রতি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে রাশিয়া। এমনটাই দাবি করছে ফেডারেল মেডিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সি। ফেডারেল মেডিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সির প্রধান ভেরোনিকা স্কভোসোভার দাবি রাশিয়ান ক্যান্সার ভ্যাকসিন এখন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত (Cancer Vaccine)। এমন কি এই ভ্যাকসিনটি তার সুরক্ষা ও কার্যকারিতার প্রমাণ করে সমস্ত প্রাক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে।

ব্যক্তিগত ভ্যাকসিনে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই, দাবি ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকারের (Cancer Vaccine)

রাশিয়া ক্যান্সারে বিরুদ্ধে নতুন সাফল্য অর্জন করেছে। সম্প্রতি ক্যান্সারের ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে বলে দাবি করছে ফেডারেল মেডিকেল এন্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সি। ফেডারেল মেডিকেল এন্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সি (FMBD) এর প্রধান ভেরোনিকা ভেরোনিকা স্কভোসোভার দাবি করেন রাশিয়ান (Russia) ক্যান্সার ভ্যাকসিন এখন ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত (Cancer Vaccine)। জানা যায় এই ভ্যাকসিন তার সুরক্ষা ও কার্যকারিতার প্রমাণ করে সমস্ত প্রাক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই নতুন ডোজটি বারবার দেওয়ার পরও এটি নিরাপদ। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে এই ভ্যাকসিনটা কাদের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এর পাশাপাশি কিভাবে কাজ করবে এই ভ্যাকসেনটি (Vaccine) ক্যান্সারের মারন থাবা আটকাতে কতটাই বা সক্ষম।

Cancer Vaccine will destroy cancer cells not prevent them claims Dr. Diptendra Sarkar

আরও পড়ুন: ডায়েট প্ল্যানে আছেন? পুজোর আগে এড়িয়ে চলুন এই বিপজ্জনক ভুলগুলি

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এবিপি লাইভ বাংলায় বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ গবেষক ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকারের জানান, চিকিৎসকদের মতে ভ্যাকসিন বলতে সাধারণতো বোঝায় যে টিকা নিলে রোগটি আর হবে না। তাই তাকে বলা হয় প্রিভেনটিভ ভ্যাকসিন। অর্থাৎ টিটেনাস আটকাতে ভ্যাকসিন নেওয়া হয়। এটিও তেমন একটি প্রিভেনটিভ ভ্যাকসিন। এছাড়াও রয়েছে টিটেনাস ইমিউনোগ্লোবিন। এই ভ্যাকসিনটা কিন্তু প্রিভেন্টিভ ভ্যাকসিন নয়।

তিনি জানান, ক্যান্সারের যে ভ্যাকসিনটি আবিষ্কার করেছে তা মূলত এর দ্বিতীয় প্রকারের।কারও টিটেনাস এক্সপোজার হলে এই ভ্যাকসিন নিলে তা সেরে যায় । রাশিয়া ক্যান্সারের যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে, তা মূলত এই দ্বিতীয় প্রকারের। ক্যান্সারের রোগী সংক্রমনের হাত থেকে সুরাহা পেতে পারেন। এর পাশাপাশি টিউমারটি শুকিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ নিরাময়ের পথ দেখাবে এই নতুন ভ্যাকসিনটি। তবে এতে কোনমতেই ক্যান্সার আটকানোর ভ্যাকসিন (Vaccine) নয়।

কিভাবে এই ভ্যাকসিনটি কাজ করবে?

এই বিষয়ে ডাক্তার জানান, এক্ষেত্রে যার ক্যান্সার (Cancer) হয়েছে তার শরীর থেকে ক্যান্সারের কোষ কিছুটা বের করে নেওয়া হবে। তারপর সেটিকে ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখানে সেই কোষ থেকে অ্যান্টিজেন বের করে নেওয়া হবে। সেই অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিবডির কাজ করে সেটাও তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি যে জেনেটিক ইনফরমেশনটি ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হবে সেটি একটি ন্যানো পার্টকলের মধ্যে ঢুকিয়ে mRNA টা শরীরের মধ্যে প্রয়োগ করা হবে। এবার সেই অ্যান্টিবডি ওই নির্দিষ্ট ক্যান্সার আক্রান্ত শরীরে প্রয়োগ করা হবে। আর তখনই সেই অ্যান্টিবডি ক্যান্সারের (Cancer) কোষের ঢুকে সক্রিয়ভাবে ক্যান্সারের কোষগুলিকে ধ্বংস করতে সাহায্য করবে।

চিকিৎসক জানান, প্রতিটি ক্যান্সারের রোগীর জন্য আলাদা আলাদা অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হবে। এছাড়াও চিকিৎসক আরও জানান, গত এক দশক ধরে এই ক্যান্সার চিকিৎসার ইমিউনো থেরাপির ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। সরকারের মতে বহু বছর ধরে ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা মূলত চেষ্টা করছে শরীর থেকে ক্যান্সারের (Cancer) কোষগুলোকে সরিয়ে ফেলতে। কিন্তু সেখানে দেখা গিয়েছে একই ক্যান্সারের কোষ আলাদা আলাদা ইমিউনিনো এনভায়রনমেন্ট একেক রকম ভাবে কাজ করে। তবে একই ক্যান্সার কোষ ভিন্ন রকমের ইমিউনো এনভায়রনমেন্ট এক এক রকম ভাবে বিস্তার লাভ করে। এক্ষেত্রে এই ইমিউনো এনভায়রনমেন্টটা বদলে দেওয়া গেলে তার দ্রুতভাবে ধ্বংস করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি রাশিয়ার (Russia) দাবি, নতুন এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ধরনের ওপর নির্ভর করে টিউমারের আকার ৬০% থেকে ৮০% পর্যন্ত ছোট হয়েছে। এর পাশাপাশি সেগুলোর বৃদ্ধি অনেকটাই কমানো গিয়েছে (Cancer Vaccine)।