বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক বদলি (Teacher Transfer Case) নিয়ে ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। সোমবার ‘পাড়ায় সমাধান’ সরকারি শিবির থেকে শিক্ষক বদলির অভিযোগ ওঠে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। সেই মামলাতেই পর্ষদ থেকে শুরু করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি এই মামলার তদন্তে রাজ্যের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
ঘটনাটা কী? ‘পাড়ায় সমাধান’ সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িত সমস্যার সমাধান করা হয়। অভিযোগ, এবার এই প্রকল্পের শিবির থেকে দেদারে শিক্ষক বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। সোমবার এই মামলার শুনানিতেই মোট ২১৬ জন শিক্ষকের বদলি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিচারপতি বসু। পাশাপাশি বিচারপতির সাফ প্রশ্ন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য কী ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’ করতে পারবে?
এরপরই রাজ্য সঠিকভাবে তদন্ত করতে পারবে কী না সেই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, এক শিক্ষিকা বদলির আবেদন করেও বদলি পাননি। এরপরই তিনি ‘পাড়ায় সমাধান’ শিবিরে বিষয়টি জানান। আর তারপরই নাকি বদলি পেয়ে যান তিনি। এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। তড়িঘড়ি মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে।
এদিন এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি বসু বলেন, “পাড়ায় সমাধান থেকে সুপারিশ করা আবেদন গ্রহণ করে বদলি হয়েছে। কার নির্দেশে এসব চলছে? ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী কী করলেন? এখানে তার তো একটা ভূমিকা থাকবে। নিঃশব্দে এই কাজ হল কী করে?’
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের হলফনামা থেকে স্পষ্ট যে পাড়ায় সমাধান শিবিরে যে বদলির আবেদন করা হয়েছিল, সেই বদলির সুপারিশ কার্যকর হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নির্দেশে এই কাজ চলেছে বলেও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এদিন শিক্ষক বদলির মামলার শুনানিতে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি! দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় হলুদ সতর্কতা: আবহাওয়ার খবর
রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য কিছু সময়ের আর্জি জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। এই সময়ের মধ্যেই রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি বসু।