বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি মাসের শেষে পুজো। পুজো আসার আগে বা পুজোর সময় যদি মুখে (Skin Care) লালচে ধরনের গোটা ওঠে, তাহলে সাজের পুরো বারোটা বেজে যায়। এছাড়াও পুজোর সময় ত্বকে ব্রন থাকলে সাজগোজ ঠিক মানায় না। পুজোর আগে ব্রনহীন ত্বক পেতে গেলে আর ব্যবহার করতে হবে না কেমিকাল প্রোডাক্ট। অথবা ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করতে হবে না বিউটি পার্লারে। আপনি যদি বাড়িতে থাকাই সামান্য একটি উপকরণ এখন থেকে ব্যবহার করতে শুরু করেন। তাহলে পুজোর আগেই পাবেন ব্রন হীন ত্বক।
হঠাৎ ব্রণ ওঠা আটকাতে ঘরে বসেই মেনে চলুন এই নিয়মগুলো (Skin Care)
১) হলুদ ও মধুর প্যাক: হলুদ শরীর অথবা মুখের জন্য ভীষন উপকারী। কারণ, এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক গুণ। আর মধুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। এরফলে এই দুটি উপকরনৈর মিশ্রণ মিশিয়ে মুখে মাখলে ব্রণের প্রদাহ কমে যাবে (Skin Care)।
২) অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এলোভেরা জেল ব্রণের চিকিৎসার জন্য উপকারী। এর মধ্যে থাকা সালিসিলিক অ্যাসিড ও সালফার ব্রণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। অতএব কাছ থেকে সরাসরি যদি বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল বোনের ওপর লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলা হয় তাহলে এই ব্রণর প্রদাহ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আরও পড়ুন:আজ থেকে ফের ঝড়-বৃষ্টির ডবল ডোজ দক্ষিণবঙ্গে, কতদিন চলবে দুর্যোগ? আবহাওয়ার খবর
৩) লেবুর রস: লেবুর রস শুধুমাত্র যে ওজন কমাতে সাহায্য করে তা নয়। এটি ব্রনের হাত থেকে রক্ষা করে।কারণ লেবুর রসের মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া গুলি কি মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তবে এরজন্য লেবুর রস সরাসরি ত্বকে লাগানো উচিৎ নয়। জলের সঙ্গে পাতলা করে বাদ দিনের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। এতে ব্রণর সমস্যার থেকে উপকার পাবেন।
৪) গ্ৰিন টি: গ্রিন টি শুধুমাত্র যে ওজন কমায় তা নয়। এটি ব্রণের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও আন্টি ইনফ্ল্যেমেটরি উপাদান। যা মূলত ব্রণ প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়। অতএব একটি গ্রিন টিকিট ব্যাগ গরম জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন তারপর শুধু ঠান্ডা হয়ে গেলে ব্রণের উপর ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে রাখুন। এতে আপনার মুখে ব্রণের দাগ (Acne Scars) কমে যাবে।