বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য নতুন জিএসটি সংস্কাহয়রের সুফল জনগণের কাছে তুলে ধরা। বিজেপি সূত্রে খবর, ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছাবেন এবং রাজ্যের সাংবাদিক ও জনসাধারণের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে নতুন জিএসটি হার
গত ৪ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে নতুন জিএসটি হার। এবার ১২ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি থাকছে না। নতুন স্ল্যাবের মধ্যে থাকবে ৫ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ। কেন্দ্র এই নতুন সংস্কারকে ‘নেক্সট জেন জিএসটি রিফর্ম’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।
স্বাস্থ্যবিমা ও জীবন বিমা থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ শতাংশ জিএসটিতে থাকা বহু জিনিসের করও শূন্য করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে ৩৩টি জীবনদায়ী ওষুধ, পাউরুটি, রুটি-পরোটা ও পনির। এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর জিএসটির বোঝা কমাবে।
জিএসটির প্রথম পর্যায়ে ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ে পরিষ্কার বার্তা অর্থমন্ত্রীর (Nirmala Sitharaman)
কেন্দ্রের জিএসটি সংস্কার নিয়ে কংগ্রেসও মন্তব্য করেছে। বিজেপির পদ্ম শিবিরকে আক্রমণ করে তারা দাবি করেছে, জিএসটির প্রাথমিক কার্যক্রমে তাঁদের দলের অবদান ছিল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বলেছেন, যারা একসময় জিএসটিকে ‘গব্বর সিং ট্যাক্স’ বলেছিলেন, আজ তারা সংস্কারের কৃতিত্ব দাবি করছেন। তাঁর কথায়, জিএসটির প্রথম পর্যায় ছিল ‘ঐক্যের জন্য’, দ্বিতীয় পর্যায় ‘সরলতার জন্য’, আর এখন মূল লক্ষ্য হলো কর ব্যবস্থাকে সহজ ও বোধগম্য করা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর পর বাংলায় বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করবে বিজেপি। অর্থমন্ত্রীর পর রাজ্যে আসবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চলতি মাসেই বাংলায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তিনি কলকাতা ও আশেপাশের অন্তত দুটি দুর্গাপুজো উদ্বোধনে যোগ দিতে পারেন। একইসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও বাংলায় আসবেন।
আরও পড়ুনঃ রাঁচিতে গ্রেপ্তার আইএসের সন্দেহভাজন জঙ্গি, দেশজুড়ে সতর্কতা
নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Sitharaman) এই সফর শুধু জিএসটি সংস্কার প্রচারই নয়, বরং বাংলার রাজনৈতিক দৃশ্যপটেও কেন্দ্রীয় সরকারের উপস্থিতি দৃঢ় করার পরিকল্পনা। উৎসব শেষ হওয়ার পর রাজ্যে আরও কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা বাড়বে, যা পরবর্তী নির্বাচনী পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।