বাংলাহান্ট ডেস্ক:- বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন ডাক কর্মী প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস (Pramoth Ranjan Biswas) অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian citizenship) লাভ করলেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার পর আনন্দে আপ্লুত তিনি। প্রমথবাবুর কথায়, ‘‘এখন আর আমাকে কেউ ভারত থেকে বিতাড়িত করতে পারবে না। আমি একজন ভারতীয় নাগরিক, ভারত সরকার আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’’
ভারতে স্বীকৃতি বাংলাদেশের বাসিন্দার (Bangladesh)
প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস মূলত বাংলাদেশের (Bangladesh) বাসিন্দা ছিলেন। পেশায় ছিলেন ডাক কর্মী। ২০০৯ সালে তিনি ভারতবর্ষে চলে আসেন এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হেলেঞ্চা বৈঁচিডাঙাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই অঞ্চলে বসবাস করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকত্ব পাননি। এর ফলে তাঁর মধ্যে সবসময়ই এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করত।
আরও পড়ুন:- অশান্ত নেপালে বজায় হিংসা! পশুপতিনাথ মন্দিরেও বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবের চেষ্টা, নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনা
২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA)। সেই আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই প্রমথবাবু ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার কথা ভেবে রেখেছিলেন। অবশেষে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানান। প্রাথমিক কাগজপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে পুলিশি তদন্ত, স্থানীয় ভেরিফিকেশন—সব কিছুই নিয়মমাফিক সম্পন্ন হয়। অবশেষে সরকারের তরফে তাঁর আবেদনে সবুজ সংকেত মেলে। সম্প্রতি প্রশাসনের হাত ধরে প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস নাগরিকত্বের শংসাপত্র লাভ করেন (Bangladesh)।
শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের সকলকে আবেদন জানিয়েছেন সাহসের সঙ্গে সিএএ-র আওতায় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে সিএএ নিয়ে। আমি কারও কথায় কান দিইনি, সিএএ-তে আবেদন করেছি। কোনও রকম হয়রানি ছাড়াই নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেয়েছি (Bangladesh)।’’
আরও পড়ুন:-GST সংস্কারের বার্তা দিতে বড় উদ্যোগ কেন্দ্রের, পুজোর আগেই বাংলায় আসছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন
প্রমথবাবুর এই বার্তা রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সিএএ নিয়ে এখনও বাংলার বিভিন্ন অংশে বিভ্রান্তি রয়ে গিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ায় হয়তো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাসের অভিজ্ঞতা বলছে, নিয়ম মেনে আবেদন করলে জটিলতা তৈরি হবে না।
মতুয়া সমাজের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক বার্তা। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই এই সম্প্রদায় নাগরিকত্বের দাবিতে সরব ছিল। এবার একজন সাধারণ মানুষ নিজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জানালেন, সিএএ-তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাওয়াটা শুধু সম্ভবই নয়, বরং সহজ প্রক্রিয়াতেই সম্ভব। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে আসা প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস আজ একজন ভারতীয় নাগরিক। তাঁর জীবনের এই নতুন অধ্যায় শুধু তাঁর ব্যক্তিগত স্বস্তির কারণ নয়, মতুয়া সমাজের কাছেও এটি এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।