বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েও ভোলবদল ট্রাম্পের! দিলেন ভারতের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরামর্শ

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের ভারতের (India) ওপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর হুমকি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ফের চমক দিলেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে। রাশিয়ার (Russia) উপর চাপ বাড়ানোর জন্য এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (European Union) ভারত ও চিনের উপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর আহ্বান জানালেন তিনি। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কনফারেন্স কলে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ”এটা বাধ্যতামূলক ভাবেই করতে হবে। শুল্ক আরোপ করতে হবে ততক্ষণ, যতক্ষণ না চিন বা অন্য দেশ রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করছে।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে কূটনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ফের ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি (India)

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প একদিকে যেখানে ভারতকে (India) ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে উল্লেখ করছেন, অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ভারত ও চিনের উপর শুল্ক চাপানোর বার্তা দিচ্ছেন—এতে স্পষ্ট হচ্ছে, তিনি কূটনৈতিক চাপের দ্বিমুখী কৌশল নিয়েছেন। একদিকে তিনি সরাসরি দিল্লির সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, অন্যদিকে শুল্কের হুমকি দিয়ে ইউরোপকে ব্যবহার করতে চাইছেন।

আরও পড়ুন:-অশান্তির আগুনে পুড়ছে নেপাল! প্রভাব পড়ছে বাণিজ্যে, কতটা চাপ বাড়ছে ভারতীয় সংস্থাগুলির?

মঙ্গলবারই ট্রাম্প সোশাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি দেন, যেখানে তিনি লেখেন, “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি দীর্ঘ বাণিজ্য জট ছাড়াতে দুই মহান দেশ ভারত (India) ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনা চলছে। আমার প্রিয় বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী। আমার বিশ্বাস দুই মহান দেশের এই আলোচনা শীঘ্রই সমস্ত বাধা পেরিয়ে চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছবে।” তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। তবে একই দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দেওয়া শুল্কের বার্তা ভারতের জন্য উদ্বেগেরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকা ক্রমাগত রাশিয়ার তেল রপ্তানি বন্ধ করতে চাপ দিয়ে আসছে। ইউরোপের দেশগুলির ক্ষেত্রে অনেকটাই সাফল্য মিললেও ভারত (India) ও চিন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। আর সেই কারণেই এবার ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে দিল্লি ও বেজিং-এর উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন।

Trump Suggests imposing 100 percent tariff on India.

আরও পড়ুন:-শুধু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান নয়! আরও এক কারণেও হচ্ছে “বিদ্রোহ”, দেশে অশান্তির প্রসঙ্গে বাংলাহান্টকে কী জানালেন নেপালের প্রাক্তন সাংসদ?

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই দ্বিমুখী অবস্থান আসলে ট্রাম্প-শৈলীরই প্রতিফলন। যেখানে তিনি একই সঙ্গে একাধিক বার্তা দিয়ে বিভিন্ন পক্ষকে চাপে রাখতে চান। ফলে আগামী দিনে ভারত (India) ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক কোন পথে এগোয়, তা দেখার অপেক্ষায় কূটনৈতিক মহল।