বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে পুলিশের কাছে বাধাপ্রাপ্ত হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও তার সতীর্থরা। সেখানেই এক শিখ আইপিএস (Sikh IPS) অফিসারের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। অভিযোগ ওঠে তিনি নাকি পুলিশের কাছে বাধা পেয়ে সেই শিখ আইপিএস অফিসারকে ‘খলিস্তানি’ বলে ডেকে ওঠেন।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এই তার নিন্দায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোরগোল বাড়তেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, সেখানে কাউকেই তার জাতি বা ধর্মকে আঘাত করে কিছু বলেননি। তবে এবার শোনা গেল, অগ্নিমিত্রার পাশাপাশি শুভেন্দুও নাকি ঐ শিখ আইপিএসকে খলিস্তানি বলে ডেকেছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঐ শিখ আইপিএসের নাম জসপ্রিত সিং। সম্প্রতি তিনি এক পঞ্জাবি মিডিয়ার সাথে আলাপচারিতায় বসেছিলেন। আর সেখানেই তিনি দাবি করেছেন যে, অগ্নিমিত্রার পাশাপাশি শুভেন্দুও নাকি তাকে ‘খলিস্তানি’ বলে ডেকেছেন। সম্প্রতি সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এবার সেই ভিডিও নিজের ওয়ালে শেয়ার করেছেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন : কাটল ‘আধার’ জট, UIDAI নিল বড় পদক্ষেপ! আর সমস্যা হবেনা কারোরই
সন্দেশখালিতে আইপিএস বনাম বিজেপির দ্বন্দ্বের পর গতকাল রাতে নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিয়ে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নমোর পাগড়ি পরিহিত ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কি খলিস্তানি?’ ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫(এ) ধারায় আইনত পদক্ষেপ করা হবে।’
আরও পড়ুন : বলতে হবে ‘নাম, জাত’ প্রকাশ্যে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জনতাকে উস্কানির অভিযোগ! ভাইরাল রাহুলের ভিডিও
তিনি আরও বলেছেন, ‘এক জন পাগড়ি পরেন বলে তিনি খলিস্তানি? পুলিশে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান সবাই আছেন। সবাই তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন। এই ধরনের মন্তব্য ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করে। বিরোধী দলনেতা জসপ্রীত সিংকে খলিস্তানি বলেছেন। এটা অসংবেদনশীল, প্ররোচনামূলক ও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছে। এর নিন্দা করছি।’
ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন রাজ্য পুলিশও। এইদিন পুলিশ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখা হয়, ‘আমাদের এক অফিসারকে খলিস্তানি বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। তার দোষ একটাই, তিনি এক জন গর্বিত শিখ এবং একই সঙ্গে এক জন যোগ্য অফিসার, যিনি আইন কার্যকর করার চেষ্টা করছিলেন।’