মমতার মন্তব্যের জের! অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের আবেদনে সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট

Published on:

Published on:

calcutta high court(37)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদ। প্রাক্তন সেনাকর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দিল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি সেনাদের নিয়ে করা মমতার মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তারই প্রতিবাদ জানাতে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার জন্য অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা। তাদের আবেদনে সাড়া দিল উচ্চ আদালত।

ধর্নার অনুমতি মিলল হাইকোর্টে | Calcutta High Court

শর্তসাপেক্ষ অনুমতি দিয়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ২০০ জন সদস্য নিয়ে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারবেন। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা ওঠে। বিচারপতি জানিয়েছেন দুপুর ১২ টা থেকে ৫টার মধ্যে কর্মসূচী পালন করতে হবে।

বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রাক্তন সেনা কর্তাদের এই কর্মসূচিতে বিজেপির কোনও নেতা থাকতে পারবেন না। আদালতের নির্দেশ, এই কর্মসূচি শুধুমাত্র একটি লাউড স্পিকার এবং হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করা যাবে। এর আগের শুনানিতে আদালত প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের ধর্নায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীরা সেনার অনুমতি পেয়েছেন।

মূল ঘটনা: সম্প্রতি ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মেয়ো রোডে প্রতিবাদ মঞ্চ তৈরী করা হয়েছিল। যদিও সেনা তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য সর্বোচ্চ ২ দিনের অনুমতি দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে মঞ্চ থাকায় সেনা কর্মীরা ত্রিপল, বাঁশ, ফ্লেক্স খুলে ফেলেন। এই নিয়েই উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি।

সেই সময় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মঞ্চ যাতে না খোলা হয় সেই কারণে সেনাদের আটকানোর চেষ্টা করলেও, বাধা পেরিয়েই চলে মঞ্চ খোলার কাজ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সেনার বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: রাজ্যে নয়া ছুটির ঘোষণা, সরকারি কর্মীদের বড় উপহার মুখ্যমন্ত্রীর, কবে মিলবে?

সেনার ভূমিকায় মমতা বলেছিলেন, “এটা সেনার কাজ নয়, এর পিছনে বিজেপি ও দিল্লির নির্দেশ রয়েছে।” মমতার অভিযোগ, প্রায় ২০০ সেনাকর্মী তাঁকে দেখে ছুটে পালায়। সেনারা রাজনৈতিক চাপে কাজ করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের দোষ নেই বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মন্তব্যকেই ‘অবমাননাকর’ বলে আদালতে যান অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তারা। এবার সেই ধর্নায় অনুমতি মিলল।