‘গো টু হেল!’ ভরা এজলাসে রেগে আগুন বিচারপতি সিনহা, মামলা খারিজই করে দিল হাইকোর্ট

Published on:

Published on:

calcutta high court(38)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুদিন থেকে টালবাহানা চলছে। এবার টলিপাড়ার (Tollywood) দ্বন্দ্ব নিয়ে মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন সেই সংক্রান্ত মামলা ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) এজলাসে। রাজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত শোচনীয় বলে পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতি। রাজ্য সরকারের ‘অনীহা’ দেখেই মামলা খারিজ করেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, ‘রাজ্যই যখন চায় না, সমস্যার সমাধান করতে…তা হলে গো টু হেল!’

টলিপাড়ায় দ্বন্দ্ব নিয়ে মামলা খারিজ, বিরক্ত হাইকোর্ট | Calcutta High Court

টলিউড ইন্ডাস্ট্রির মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ইনডাস্ট্রি স্বচ্ছভাবে চালানোর জন্য যেই সদিচ্ছা প্রয়োজন সেখানে রাজ্য সরকারের অনীহা রয়েছে। এমন মনে হচ্ছে সরকার নিজেদের হাত ধুইয়ে নিচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাবের প্রসঙ্গ তোলে আদালত। মন্তব্য, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিও রাজনৈতিক প্রেসার থাকার কারণে সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারেননি। এহেন অবস্থায় আদালত মামলাগুলি খারিজ করতে বাধ্য হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, টলিপাড়ায় কলাকুশলীদের সংগঠন ফেডারেশন বনাম পরিচালক-অভিনেতাদের একাংশের মধ্যে টানাপোড়েনের জেরে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। এর আগে এই নিয়ে একাধিক বার সুযোগ দেওয়ার পরও সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে গোটা মামলাটাই খারিজ করে দেন জাস্টিস সিনহা। তবে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।

উল্লেখ্য, ফেডারেশন এর বিরুদ্ধে দুটি অবমাননা মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। ১৭ নভেম্বর হলফনামা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য তরফে ২৭ জনের নাম নিয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই নিয়েই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘সবাই নেতৃত্ব দিতে চাইছে? এটা কিভাবে সম্ভব?’

হাইকোর্ট ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ১৩ জন পরিচালকের করা মামলায় কমিটি গড়ে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। গত ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। সেই নির্দেশ মত আগেই পরিচালকরা তালিকা জমা করেন, শেষ দিনে তালিকা দেয় ফেডারেশনও।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশ মেনে ২৫% ডিএ মেটায় নি রাজ্য, এবার কী পদক্ষেপ হবে? স্পষ্ট উত্তর সামনে এল

উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই এই মামলায় সমস্যার সমাধানের জন্য রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হতে বলেন বিচারপতি। তবে হাইকোর্টের একাধিকবার নির্দেশের পরও রাজ্যের তথ্য–সংস্কৃতি সচিব গোড়ায় দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেননি। একটি মাত্র বৈঠক হলেও তাতে সমাধান অধরা। এই অবস্থায় বিচারপতি সিনহা চেষ্টা করলেও সমাধান সূত্র বেরোয় নি বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের অধিকাংশের।