বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাধারণ ভোটের দিন ঘোষণার পরেই রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। গত বছরও লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote) দিন প্রকাশের পর বাংলায় পা রেখেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। কিন্তু সূত্রের খবর, এ বার সেক্ষেত্রে কিছুটা ব্যক্তিক্রম হতে চলেছে। জানা যাচ্ছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খুব সম্ভবত ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকেই। ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে হবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। আর সেই খবর সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে এখন হাতে মাত্র কয়েকদিন। ভোটের নিঘন্ট এখনও প্রকাশ না হলেও বর্তমানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ওদিকে সম্প্রতি ভোটের জন্য দেশের সমস্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে (Centre) চিঠি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (National Election Commission)। আর সেই চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, এ বার লোকসভা ভোটে সারা দেশে বাংলার জন্যই সবচেয়ে সর্বাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে কমিশন।
কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানোর জন্য তারা ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চাইছে। ওদিকে বাংলার পরই রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। সেখানে নির্বাচন করানোর জন্য চাওয়া হয়েছে ৬৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাংলায় এ বার রেকর্ড বাহিনী মোতায়েন করতে চাওয়ার বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত স্পর্শকাতর, সংবেদনশীল বুথের তালিকাও দেওয়ার জন্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাংলার প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে কতগুলি করে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে, স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলির তালিকাও জেলাশাসকদের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। এরপর আগামী ৪ মার্চ কমিশনের ফুল বেঞ্চ বাংলায় আসছে। ৫ মার্চ সমস্ত রাজনৈতিক দল, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তারা।
আরও পড়ুন: অ্যাকশন গ্রাউন্ড জিরোয়! এবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন অভিষেক, হবে বিরাট সভা
এমনকি ২০২৪-র বুথ-তথ্যের সঙ্গে ২০১৯-এর লোকসভা ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরিস্থিতির তুলনা করা হবে। তারপর সেসবের ওপর ভিত্তি করে জেলাশাসকদের স্পর্শকাতর ও উপদ্রুত এলাকার বুথের তালিকা জমা দিতে হবে। এর প্রেক্ষাতেই বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে ৭৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল বাংলায়। বিরোধীদের দাবি মেনে বিধানসভা নির্বাচনে মোতায়েন ছিল ১০০০ এর বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনকী বিরোধীদের দাবীকে প্রাধান্য দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত করানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে অন্তত ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হয়েছিল। তবে এই কোনও ক্ষেত্রেই হিংসার ঘটনা থামানো যায়নি রাজ্যে।