ডিএলএড মামলায় বড় রায়, ২২০০ শূন্যপদে নিয়োগ, ৬ সপ্তাহের ডেডলাইন দিল শীর্ষ আদালত

Published on:

Published on:

Supreme Court directs West Bengal to appoint D.El.Ed trainees within 6 weeks

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএলএড প্রশিক্ষণরত টেট উত্তীর্ণদের প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিল “শুধু আলোচনা নয়, ৬ সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।” আদালতের এই নির্দেশে নতুন করে আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য। তখন ডিএলএড প্রশিক্ষিত টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের পরও ২২০০ পদ খালি থেকে যায়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই শূন্যপদে প্রশিক্ষণরতদেরও নিয়োগ করা যেতে পারে। তবে পরে ডিভিশন বেঞ্চে রায় খারিজ হয়। এরই প্রেক্ষিতে প্রশিক্ষণরতরা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন।

২২০০ শূন্যপদে ডিএলএড প্রশিক্ষণরত টেট উত্তীর্ণদেরও নিয়োগ করা যাবে, জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

প্রায় পাঁচ মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছিল, বাকি থাকা ওই ২২০০ শূন্যপদে ডিএলএড প্রশিক্ষণরত টেট উত্তীর্ণদেরও নিয়োগ করা যাবে। কিন্তু এতদিনেও সেই রায় কার্যকর হয়নি। তাই ফের আদালতের শরণাপন্ন হন চাকরিপ্রার্থীরা। শুনানিতে বোর্ডের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত বলেন, “রায় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে তা কার্যকর করার কাজ শুরু করা হবে।”

শুক্রবার বিচারপতি পি নরসিমহা ও বিচারপতি অতুল এস চন্দুকারের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সেখানে প্রার্থীদের আইনজীবীরা আদালতের হস্তক্ষেপ চান। সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, “ছ’সপ্তাহ বাদে ওদের আলোচনার পর আবার আমাদের আদালতে আসতে হবে?” জবাবে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, “শুধু আলোচনা নয়, ৬ সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।”

Supreme Court directs West Bengal to appoint D.El.Ed trainees within 6 weeks

আরও পড়ুনঃ SSC-র ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর আর্জি খারিজ, ‘কিছু করার নেই’, স্পষ্ট জানাল সুপ্রিম কোর্ট

প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে এতদিনের জটিলতায় নতুন গতি আনল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই নির্দেশ। এখন দেখার যে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকার সত্যিই ২২০০ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে কি না। প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের কাছে এই রায় নিঃসন্দেহে বড় জয়।