বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ ভারত (India) আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নতুন ফসলের মরশুমে পর্যাপ্তের অতিরিক্ত চিনি মজুত রাখবে। যার ফলে রফতানির অনুমতি মিলতে পারে। শুক্রবার সরকারের একজন উচ্চ আধিকারিক এই তথ্য জানিয়েছেন।
বড় পদক্ষেপের পথে দেশ (India):
উল্লেখ্য যে, ভারত (India) থেকে চিনি রফতানি বিশ্বব্যাপী চিনির দামের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে, এটি ভারত সরকারকে দেশীয় চিনির দাম বজায় রাখতে এবং আখ চাষীদের তাঁদের ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
খাদ্য ও গণবন্টন বিভাগের যুগ্ম সচিব অশ্বিনী শ্রীবাস্তব এক বিশ্বব্যাপী সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, নতুন মরশুমে চিনি রফতানির সম্ভাবনা থাকবে। তবে, রফতানির জন্য কত পরিমাণ চিনি বরাদ্দ হবে তা তিনি বলেননি। জানিয়ে রাখি যে, উৎপাদন কমে যাওয়া সত্ত্বেও ভারত চলতি বিপণন বর্ষে (যা সেপ্টেম্বরে শেষ হবে) ১০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি রফতানির অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১,১০০ কিমি দূর থেকেই সমুদ্রে তীক্ষ্ণ নজর! ভারতের এই শহরে প্রস্তুত নৌবাহিনীর “সুপার ব্রেন সেন্টার”
আখ থেকে রেকর্ড ইথানল উৎপাদন: অশ্বিনী শ্রীবাস্তব আরও জানান যে, পরবর্তী মরশুমের উৎপাদন ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ও ইথানল উৎপাদনের চাহিদা পূরণের পরেও, রফতানির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুত থাকবে। তিনি বলেন, নতুন মরশুমে আখ থেকে প্রায় ৪.৮ বিলিয়ন লিটার ইথানল উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। যা এখনও পর্যন্ত একটি রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: সুদূর জাপানে ভারত-পাকিস্তানের জোরদার টক্কর! মুখোমুখি হতে চলেছেন নীরজ চোপড়া-আরশাদ নাদিম
ভারতের চিনির মজুত বৃদ্ধি পাবে: ইন্ডিয়ান সুগার অ্যান্ড বায়ো-এনার্জি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত বৃহস্পতিবার অনুমান করেছে যে ২০২৫-২৬ বিপণন বর্ষে (১ অক্টোবর থেকে শুরু) উৎপাদন ৩৪.৯ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত হতে পারে। এদিকে, নতুন মরশুমে দেশে (India) চিনির ব্যবহার ২.৮৫ থেকে ২.৯ কোটি মেট্রিক টনে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা চলতি বছরের ২.৮ কোটি মেট্রিক টনের চেয়ে বেশি। ভারত নতুন বিপণন বর্ষ শুরু করবে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টনের উদ্বোধনী মজুত দিয়ে। যা এই বছরের শুরুতে ৮০ লক্ষ মেট্রিক টন ছিল।