বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝিলে পড়ে এক ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। ঘটনার পরই ফের ক্যাম্পাস নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই প্রেক্ষিতেই একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা জারি করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নতুন নির্দেশিকা জারি করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ
বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ৪ নম্বর গেটের কাছে থাকা ঝিলে পড়ে যান তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বাঁচানো যায়নি। ওই ঘটনার পরই ক্যাম্পাসে প্রবেশে নতুন নিয়ম চালু হল। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা পার্কিং স্টিকার থাকলেই কেবল দু চাকা বা চার চাকার গাড়িকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে। স্টিকার না থাকলে প্রবেশপথে বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে। সন্ধে সাতটার পর ক্যাম্পাসে ঢুকতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরিচয়পত্র না থাকলে নিজের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে হবে এবং কিসের জন্য এসেছেন, তা জানাতে হবে।
মদ ও গাঁজা নিয়ে কঠোর অবস্থান
ছাত্রী মৃত্যুর রাতে ক্যাম্পাসের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মদের আসর বসেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই প্রেক্ষিতেই কর্তৃপক্ষ ফের কড়া বার্তা দিয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, “ক্যাম্পাসের মধ্যে মাদক সেবনের সময় ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অতীতে মদ ও গাঁজা নিয়ে একাধিক বিতর্কের পরও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ। তাই ফের কঠোর অবস্থান নিল বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যাম্পাসের ভিতর অনেক সাধারণ মানুষ প্রতিদিন সকালে ও সন্ধেয় হাঁটতে আসেন। এবার তাঁদের জন্যও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, “বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সর্বসাধারণের জন্য মর্নিং ও ইভিনিং ওয়ার্ক বন্ধের নির্দেশিকা জারি করা হল।” প্রশাসনের দাবি, এর ফলে ক্যাম্পাসে অচেনা মানুষের যাতায়াত কমবে এবং নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) এর আগেও একাধিকবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। এবার প্রশ্ন উঠছে, এই নতুন কড়াকড়ি কতটা মেনে চলা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অমিতাভ দত্ত স্বীকার করেছেন, “নিরাপত্তার কিছু ঘাটতি রয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কিছুটা কম। আমরা সেটা সরকারকে জানিয়েছি।” এখন নজর ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের, নির্দেশিকাগুলি কতটা কার্যকর হয় তার দিকেই।