বাংলাহান্ট ডেস্ক: ধীরে ধীরে ফের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে নেপাল (Nepal)। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রাজধানী কাঠমান্ডুও (Kathmandu) কয়েকদিনের টানটান অশান্তি, অবরুদ্ধ পরিস্থিতি আর কড়া কার্ফুর পর আজ সকাল থেকেই শহরের রাস্তাঘাটে দেখা গেল পুরনো চেনা ব্যস্ততা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জমেছে মানুষের ভিড়, ভরে উঠেছে বাস, ট্যাক্সি ও অন্যান্য গণপরিবহণ। যানবাহন চলছে পূর্ণ সক্ষমতায়। দূরপাল্লার আন্তঃনগর বাস পরিষেবা চালু হওয়ায় দেশের অন্যান্য শহরের সঙ্গে যোগাযোগও আবার স্বাভাবিক হয়েছে। এই স্বস্তি এনে দিয়েছে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী মহলে নতুন করে আশার আলো।
ছন্দে ফিরছে নেপাল (Nepal)
পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডুর জীবনযাত্রা দীর্ঘদিন ধরে থমকে ছিল। কার্ফুর কারণে হোটেল, রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে স্থানীয় দোকানপাটের ব্যবসা ধাক্কা খেয়েছিল প্রবলভাবে। বিদেশি পর্যটকরা যেমন আটকে ছিলেন, তেমনই দেশের ভেতর থেকেও আসা ভ্রমণকারীরা মুক্তভাবে ঘুরতে পারেননি। আজ সেই ছবি পাল্টাতে শুরু করেছে। কার্ফু প্রত্যাহার হতেই কাঠমান্ডুর হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। বিদেশি ভ্রমণপিপাসুরা আবার ভরিয়ে তুলছেন পর্যটনকেন্দ্রগুলি, স্থানীয় বাজারে দেখা যাচ্ছে কেনাকাটার ভিড়।
আরও পড়ুন: করদাতার টাকায় বিলাস, রাজনীতিবিদদের সন্তানের ভোগবিলাসে ক্ষোভ—#NepoKids ট্রেন্ডে কাঁপছে কাঠমান্ডু
পর্যটকদের সুরক্ষা ও সুবিধার জন্য এগিয়ে এসেছে নেপাল (Nepal) ট্যুরিজম বোর্ড। সংস্থাটি জানিয়েছে, যেসব ভ্রমণকারী এখনও কোনও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তারা সরাসরি বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সহায়তা পাবেন। এনটিবি-র এই পদক্ষেপে আশ্বস্ত হয়েছেন বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক।
নেপালের সাধারণ নাগরিকরাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। কয়েকদিনের কার্ফু, পুলিশি টহল আর অনিশ্চয়তার পরিবেশ পেরিয়ে আজ সকাল থেকে শহরজুড়ে নতুন ভোরের আভাস পাওয়া গেছে। ব্যস্ত অফিসপাড়া, স্কুল-কলেজের পথে ছুটছে মানুষ, খোলা হয়েছে বাজার। শহরবাসী আশা করছেন, এই স্বাভাবিকতার ছন্দ যেন বজায় থাকে এবং আবার কোনও অশান্তি শহরের পরিবেশকে ব্যাহত না করে।
আরও পড়ুন: ২০২৭ এসসিও’র দায়িত্ব পাকিস্তানের হাতে,‘শুরু হোক প্রস্তুতি’ ঘোষণা করলেন শাহবাজ শরিফ
বিগত অচলাবস্থা কাটিয়ে কাঠমান্ডু আজ যেন মুক্তির নতুন নিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে। শহরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, পর্যটক—সবাই মিলে চাইছেন শান্তি ও স্থিতিশীলতা। নেপালের (Nepal) এই পুনর্জাগরণ দেশের অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পকে ফের গতি দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।