বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত ৫১ দিন ধরে সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। প্রথমটা চুপ থাকলেও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে একে একে আসরে নামে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। আর এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এলাকার জমি বিতর্কে কড়া বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্দেশখালির হাল হকিকত জানতে সেখানে গেছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। এই দুই মন্ত্রী মারফত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সন্দেশখালিতে কেউ কারও জমি জবরদখল করে থাকলে তা অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। একই সাথে তিনি দলের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন, তৃণমূলে থাকতে গেলে গুণ্ডামি করা চলবেনা।
যদিও বিষয়টিকে ড্যামেজ কন্ট্রোল হিসেবেই দেখছেন বিরোধীরা। যখনই বিরোধীরা সন্দেশখালির অশান্ত পরিবেশের সাক্ষী হতে চেয়েছে তখনই বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। বাম নেত্রী মীনাক্ষী থেকে শুরু করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, সকলেই বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন রাজ্য পুলিশের কাছে। তবে দিনকয়েক আগেই কোর্টের অর্ডার নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে গেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন : ধোপে টিকলনা ‘ইন্ডিয়া’র আপত্তি, কার্যকর হবে নয়া দণ্ডসংহিতা আইন! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
এসবের মাঝেই শনিবার তপ্ত সন্দেশখালিতে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose) ও পার্থ ভৌমিক। গ্রাম ঘুরে ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। গ্রামবাসীদের থেকে সমস্ত অভিযোগ শোনার পর মেনে নিলেন জমি দখলের কথা। সমাধান হিসেবে বললেন, যেসব পথ দিয়ে জমিতে নোনাজল ঢোকে সেইসব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : একটু পরেই ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি, সঙ্গী বজ্রঝড়! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় জারি সতর্কতা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসের শুরুর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ফেরার হতেই তার অপরাধের ঝাঁপি খুলে রাস্তায় নেমেছে এলাকার মহিলারা। ছিনতাই, তোলাবাজি, মারধর, ধর্ষণ, জমি দখল, হেন কোনও অপরাধ নেই যা তিনি করেননি বলে দাবি স্থানীয়দের। এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, তাদের চাষের জমিতে ইচ্ছে করে নোনাজল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে আর সেখানে চাষ করা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রতিবাদস্বরূপ দফায় দফায় সেখানে অশান্তি, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে।