বীরভূমে অবৈধ খাদান দুর্ঘটনায় মৃত ৬, অবশেষে গ্রেপ্তার মালিক ভুলু ঘোষ

Published on:

Published on:

6 workers killed in illegal mine collapse in Birbhum

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি থানার বাহাদুরপুরে পাথর খাদানে ভয়াবহ ধস নেমে প্রাণ গেল ৬ জন শ্রমিকের। আহত আরও ৪ জন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই খাদানটি বেআইনিভাবে চালানো হচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক মালিক ভুলু ঘোষকে অবশেষে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বীরভূমে (Birbhum)বেআইনি খাদানে মৃত্যুর মিছিল

গত শুক্রবার বাহাদুরপুরে ধসের ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে পাথরের নীচে চাপা পড়ে যান শ্রমিকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটে যায় যে সেখান থেকে সরে যাওয়ার সুযোগও পাননি শ্রমিকরা।” ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৬ জন। আহত অবস্থায় উদ্ধার হন আরও ৪ জন। যদিও তাদের অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পরেই জানা যায়, খাদানটি বেআইনি ভাবে চলছিল। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক রক্তিম ঘোষ শুক্রবার রাতেই মালিক সঞ্জীব ওরফে ভুলু ঘোষের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) পুলিশ সুপার আমনদীপ।

মৃত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শ্রমিক নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এই খাদানে কাজ চলছে। এ খানে কাজ করলেও আমাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয় না। শুধুমাত্র একটি হেলমেট এবং জুতো দেওয়া হয়।’ মৃত শ্রমিক রথীন দফাদারের আত্মীয় দিব্যেন্দু মণ্ডলের বক্তব্য, ‘এই খাদানটা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছিল।’ খাদান মালিকের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরাও।

6 workers killed in illegal mine collapse in Birbhum

আরও পড়ুনঃ‌ খেজুরিতে সমবায় নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত এলাকা, বোমাবাজির অভিযোগে চাঞ্চল্য

বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে যে, শুধুমাত্র ভুলু ঘোষই কি এই বেআইনি খাদানের মূল মাথা, নাকি নেপথ্যে আরও প্রভাবশালী নাম জড়িত? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে তদন্ত নেমেছে পুলিশ। তবে ৬ জন শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।