বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ঝিলে ভেসে ওঠা তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। মেয়ের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ তুললেন নিহতের বাবা অর্ণব মণ্ডল। তাঁর দাবি, মেয়ে সাঁতার জানত না, তাই স্বেচ্ছায় ঝাঁপ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
‘কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে’, দাবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মৃত ছাত্রীর বাবার
রবিবার এক সাক্ষাৎকারে অনামিকার বাবা বলেন, “ওঁকে নিশ্চয়ই কেউ ডেকেছিল। তারপর যেতেই ওঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। ওঁ কখনওই অন্ধকারে একা যেত না, ভয় পেত।” তাঁর কথায়, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়েকে ঝিলে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
নিমতার বাসিন্দা অনামিকা বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পার্কি লটে ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। মাঝপথে ৪ নম্বর গেট লাগোয়া ঝিলপাড়ের শৌচালয়ে যান তিনি। এরপরই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান অনামিকা। কিছু ক্ষণ পর পড়ুয়ারাই তাঁর দেহ ঝিলে ভাসতে দেখেন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার প্রকাশিত ময়নাতদন্তে স্পষ্ট বলা হয়, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অনামিকার। তবে সেই রিপোর্টের পরেও বাবার অভিযোগ, “ওঁকে নিশ্চয়ই কেউ কোনও প্রস্তাব দিয়েছিল। যাতে ওঁ রাজি হয়নি বলেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।” তাঁর দাবি, মেয়ে স্বেচ্ছায় ওই অন্ধকার জায়গায় কখনও যাবে না।
আরও পড়ুনঃ ‘বিশেষ বন্ধু’র হাতেই মৃত্যু আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়া? গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ‘প্রেমিক’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ডুবে মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে উঠে এসেছে খুনের অভিযোগ। এই দুই ভিন্ন বক্তব্যের মাঝে তদন্ত আরও জটিল আকার নিচ্ছে। এখন নজর পুলিশের তদন্তে। সত্যিই দুর্ঘটনা, নাকি খুন? তদন্তের পরেই জানা যাবে আসল সত্যি।