পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে কড়া সুর, আইনজীবীদের কঠোর পরামর্শ দিল হাই কোর্ট

Published on:

Published on:

Calcutta High Court requests lawyers to avoid full-day work stoppage

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) প্রতিদিন জমছে মামলা। এই পরিস্থিতিতে আইনজীবীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “পূর্ণদিবস কর্মবিরতির বিষয়টি ভেবে দেখুন। সময় বদলেছে।” আদালতের মতে, একদিনের জন্য কাজ বন্ধ হলে বিচারপ্রক্রিয়ায় বড় ধাক্কা লাগে এবং মামলার চাপ আরও বাড়ে।

কর্মবিরতি নিয়ে আইনজীবীদের বিশেষ বার্তা দিলেন হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ

সোমবার আদালতে সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিচারপতি জানান, প্রয়োজনে কর্মসূচি দুপুর সাড়ে ৩টার পরে করা যেতে পারে। তাঁর মন্তব্য, “দুর্গাপুজোর ছুটি পড়ার আগে আর মাত্র ১৪টি কর্মদিবস বাকি রয়েছে। তার মধ্যে এক দিন (সোমবার) চলে গেল। আপনারা কর্মবিরতি দুপুর সাড়ে ৩টের পরে করুন। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মামলা শোনার সুযোগ দিন, যাতে আমরা মামলাগুলিতে গতি বৃদ্ধি করতে পারি।”

এদিন এজলাসে উপস্থিত আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বিচারপতির সঙ্গে সহমত হন। তিনি বলেন, “আমরা পেশাদার এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গেই আমাদের কাজ করার কথা। পুরো একদিনের জন্য আদালত (Calcutta High Court) বন্ধ রাখার ফলে পর পর অন্য কার্যক্রমেও প্রভাব পড়ে।”

হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট ২,০৩,৩৪৯টি মামলা জমে রয়েছে। এর মধ্যে ৩০,৩৫০টি ফৌজদারি মামলা। ফলে আদালতের কাজ একদিন থেমে গেলে মামলার চাপ আরও বাড়ে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছরও সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় একই বার্তা দিয়েছিলেন। তিনিও বলেছিলেন একদিনের জন্য পূর্ণ কর্মবিরতি না করতে।

Calcutta High Court requests lawyers to avoid full-day work stoppage

আরও পড়ুনঃ বস্তা বস্তা সরকারি চাল-আটা বাজেয়াপ্ত, হাওড়ায় রেশন দুর্নীতির পর্দাফাঁস, আটক মালিক

প্রবীণ আইনজীবী জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর সোমবার কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হলেও বিচারপতির এই মন্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, বিচারপতির পরামর্শ তাঁরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। আইন মহলের মতে, এতে আদালতের (Calcutta High Court) কাজের গতি বাড়তে পারে এবং মামলার জট কমানো সম্ভব হবে।