বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশি ইলিশের (Hilsa Fish) কদর এপার বাংলায় বরাবরই বেশ চড়া। রূপোলি আঁশের মাছ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সৌজন্যতাও দীর্ঘদিনের। প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর সময় ভারতে রপ্তানি করা হয় বাংলাদেশের ইলিশ (Hilsa Fish)। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। বাংলাদেশের সরকার বদল হতেই এক ধাক্কায় ভারত বিদ্বেষ বেড়েছে। বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে বা পরোক্ষে ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের নেতামন্ত্রীদেরও। আর এবার ভারতে ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানি নিয়ে দেশের জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ল অন্তর্বর্তী সরকার।
ভারতে ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানি করা নিয়ে ক্ষোভ বাংলাদেশে
১২০০ টন ইলিশ রপ্তানি করা হবে ভারতে, সম্প্রতি এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক। ১২.৫ ডলার বা ১৫২৫ বাংলাদেশি টাকায় কেজি দরে রপ্তানি হবে এই ইলিশ (Hilsa Fish)। আর এতেই কার্যত ক্ষিপ্ত বাংলাদেশের আমজনতা। এবার ইলিশের মরশুমে তেমন যোগান নেই প্রতিবেশী দেশেও। উপরন্তু গত কয়েক বছরের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে দাম। নিম্নবিত্ত এবং খেটে খাওয়া মানুষের সাধ্যের বাইরে ইলিশ (Hilsa Fish)।
কত করে চলছে দাম: বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ওদেশের খুচরো বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ (Hilsa Fish) বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-২৭০০ টাকা কেজি দরে। এক কেজি ওজনের বেশি হলেই প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৩০০০ টাকা বা তারও বেশি। অন্যদিকে ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের (Hilsa Fish) দাম পড়ছে প্রতি কেজি ১৬০০-১৭০০ টাকা।
আরও পড়ুন : দুই সন্তানকে নিয়ে ছাড়েন প্রথম স্বামীর ঘর, দ্বিতীয় বিয়ে করলেও এখনও ‘মালিয়া’ পদবীতেই আটকে জুন
সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ: এবার নদী, সাগরে দেখা নেই ইলিশের (Hilsa Fish)। তীব্র সঙ্কটের কথা বলছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। আগে থেকেই দাম চড়া বাজার গুলিতে। এর মাঝে ভারতকে অর্ধেক দামে ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দেশে। সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে দেশবাসীর অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে যদি ভারতে ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানি করা হয় তবে দেশের বাজারে দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
আরও পড়ুন : ১৫ মিনিট ধরে স্তব্ধ রইল পরিষেবা, গিরিশ পার্ক-দক্ষিণেশ্বরে ফের মেট্রো বিভ্রাট, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা
অভিযোগ উঠছে, বাংলাদেশের বাজারে এক কেজির ইলিশের দাম কেজি প্রতি ৩ হাজার টাকা, সেখানে দেড় হাজার টাকারও কমে কেন ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে ইলিশ? এতে দেশের বাজারে মাছের যোগান আরও কমবে, সেই সঙ্গে দামও কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে চিন্তায় বাংলাদেশের মানুষ।