বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের রপ্তানিতে (India Export) অনবদ্য সাফল্য। অগস্ট মাসে ভারতের বাণিজ্য খাতে আশাব্যঞ্জক সাফল্যের ছবি ফুটে উঠল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অগস্টে দেশের রপ্তানি বেড়েছে ৬.৭ শতাংশ। ওই মাসে রপ্তানি মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৩,৫১০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩,২৮৯ কোটি টাকা। অন্য দিকে, আমদানি কমেছে ১০.১২ শতাংশ। গত বছরের অগস্টে আমদানি ছিল ৬,৮৫৩ কোটি টাকা, যা এবার নেমে এসেছে ৬,১৫৯ কোটিতে। এর ফলে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে দাঁড়িয়েছে ২,৬৪৯ কোটিতে। গত বছরের অগস্টে এই ঘাটতির অঙ্ক ছিল ৩,৫৬৪ কোটি টাকা।
ভারতের রপ্তানিতে রেকর্ড বৃদ্ধি (India Export)
এই সাফল্যের ফলে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশের মোট রপ্তানি (India Export) দাঁড়িয়েছে ১৮,৪১৩ কোটি টাকা। একই সময়ে মোট আমদানি হয়েছে ৩০,৬৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, অনিশ্চিত বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও নীতিগত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভারতীয় রপ্তানিকারকরা দৃঢ়ভাবে নিজেদের সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে ভারতীয় প্রৌঢ়ের খুনের ঘটনায় মুখ খুললেন ট্রাম্প! কড়া বার্তা দিয়ে বললেন…
বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, অগস্ট মাসের সামগ্রিক রপ্তানি (India Export) হার ছিল ৬৯.১৬ শতাংশ। রপ্তানির এই সাফল্যের পেছনে প্রধান কারণ হল বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ এবং একাধিক কৌশলগত পদক্ষেপ। সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পণ্যভিত্তিক আলোচনায় এগিয়ে এসেছে, বিশেষ করে সেইসব ক্ষেত্রে যেখানে আমদানি বেশি। মোট ১০০টি পণ্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলির আমদানি হ্রাস এবং দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৌশলগতভাবে কাজ চলছে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে।
এই পরিসংখ্যান প্রকাশের সময় বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল বলেন, “বৈশ্বিক এবং বাণিজ্য নীতিগত অনিশ্চয়তার মাঝেও আমাদের রফতানিকারকরা অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন। ক্রিটিক্যাল সাপ্লাই চেইনে যাতে কম প্রভাব পড়ে, সেই লক্ষ্যেই সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে।” তিনি আরও জানান, রপ্তানি কারকদের সুবিধার্থে ১ নভেম্বর থেকে চালু হবে স্বয়ংক্রিয় রপ্তানি (India Export) রিফান্ড সিস্টেম বা অটোমেটেড এক্সপোর্ট রিফান্ড সিস্টেম। এর ফলে প্রক্রিয়াগত জটিলতা দূর হবে এবং রপ্তানি ক্ষেত্রে গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাক খেলোয়াড়দের সঙ্গে কেন করেননি করমর্দন? রাখঢাক না রেখে আসল কারণ জানালেন সূর্যকুমার
অর্থাৎ, অগস্ট মাসের এই ইতিবাচক তথ্য শুধু অর্থনৈতিক উন্নতির দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের স্থিতিশীল অবস্থানকেও আরও জোরদার করছে। সরকার যেমন দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ কৌশল নিচ্ছে, তেমনি রপ্তানিকারকরা বিশ্ববাজারে নিজেদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান শক্তিশালী করে তুলছেন। এর ফলে আগামী দিনে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি আরও কমবে এবং অর্থনীতির বৃদ্ধিতে নতুন গতি আসবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল (India Export)।