বাংলা হান্ট ডেস্ক: রোজকার ব্যস্ততার দিনের মধ্যে জীবনের সাথে তাল মিলি উঠতে পারছেন না আপনি। যার ফলে কিছু ভালো লাগছে না আপনার। মনের এমন অবস্থা কমবেশি সকলেরই হয়। অফিসের চাপ ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা নিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ে মানুষ (Health)। চিকিৎসকদের মতে এর থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে কারি কারি টাকা খরচ করতে হবে না। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম মেনে এই কয়েকটি আসন করতে পারেন।
উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে শ্বাসপ্রশ্বাসের এই ব্যায়াম গুলোতেই মিলবে স্বস্তি (Health)
বর্তমানে যা কাজের চাপ বাড়ছে তার ফলে বাড়তে থাকে মানসিক দুশ্চিন্তা। আর এই দুশ্চিন্তায় বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতেও ইচ্ছে করেনা। এ বিষয়ে মনোবিদরা বলেন ক্লান্তি অবসাদ ও হতাশা যখন জুড়ে থাকবে তখন তার থেকেই জন্ম নেয় বিচ্ছিন্নতার বোধ। আর এর থেকে উপশম পেতে জটিল কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। সামান্য কয়েকটি অভ্যাস প্রতিদিন পালন করলে এই সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনিও (Health)।
আরও পড়ুন: পারিবারিক সম্পত্তি বিতর্কে স্পষ্ট বার্তা নাতি-নাতনিরা দাবিদার নন: দিল্লি হাইকোর্ট
স্ট্যান্ডিং ফরোয়ার্ড ফোল্ড: ম্যাটের ওপরে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর কোমরও পিট টানটান ভাবে রাখুন। তারপর কোমর থেকে শরীর ঝুঁকিয়ে দুই হাটু তালু দিয়ে মাটির স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। কিন্তু হাটু ভাঙ্গলে হবে না। মোটামুটি দশ সেকেন্ডের মতন থেকে আবার প্রথম অবস্থায় ফিরে আসুন।
বদ্ধ পদ্মাসন: প্রথমে পদ্মাসনের আকৃতিতে বসতে হবে। এরপর পিঠ টানটানো রাখতে হবে। তারপর শ্বাস-প্রশ্বের স্বাভাবিক থাকবে। এরপর হাত দুটো পিঠের দিকে নিয়ে যেতে হবে। দুহাত দিয়ে দুই পায়ের গোড়ালি ধরুন অর্থাৎ পিঠের দিকে বাহাত দিয়ে বাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ও ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ধরতে হবে। এই ভঙ্গিমায় কুড়িগুণে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
শবাসন: কেবল হাত পা ছড়িয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়া মানে শবাসন নয়। এই আসনের নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি রয়েছে। শবাসন করতে হলে প্রথমে পিঠের ওপর ভর দিয়ে শুতে হবে। এরপর হাত দুটো পাশে রেখে দু পা ভাঁজ করে রাখতে হবে। হাতের তালু থাকবে উপরের দিকে। এইভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে। একসময় ভারী হতে হতে শরীর ছেড়ে দেবে। আর এইভাবে যতক্ষণ সম্ভব শরীরকে শিথিল রাখা যেতে পারে (Health)।