বাংলা হান্ট ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের বেশ কয়েক মাস পর, পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের একটি বড় প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। পাক বিদেশমন্ত্রী বলেছেন যে, “আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চাই, কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।” তিনি এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এটি স্বীকার করেছেন।
কী জানিয়েছেন পাক (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী:
পাশাপাশি, তিনি আরও বলেছেন যে ভারত কখনও কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় রাজি হয়নি। পাক বিদেশমন্ত্রী জানান, যখন পাকিস্তান (Pakistan) মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে ভারতের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি তা অস্বীকার করেন। যদিও, ট্রাম্প বেশ কয়েকবার মধ্যস্থতার দাবি করেছেন। এমতাবস্থায়, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবির আসল সত্যি ফাঁস হয়েছে।
সমাধান কেবল আলোচনার মাধ্যমেই আসবে: পাক (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী বলেন যে, “আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। ভারত যেভাবে চাইবে সেভাবেই আলোচনা হবে। কিন্তু আমরা ভিক্ষা করব না। যদি কোনও দেশ আলোচনা করতে চায়, আমরা তা স্বাগত জানাব। কারণ কেবল আলোচনাই সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে পারে।” তিনি দাবি করেছেন যে, “পাকিস্তান একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। ভারত যদি আলোচনা করতে না চায়, আমরা তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করব না।”
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগেই বড় চমক স্মৃতি মান্ধানার! ICC র্যাঙ্কিংয়ে পৌঁছে গেলেন শীর্ষে
ট্রাম্প ৩০ বারেরও বেশি দাবি করেছেন: জানিয়ে রাখি যে, গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকবার দাবি করেছেন যে তাঁর মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তিনি ৩০ বারেরও বেশি দাবি এই করেছেন। ট্রাম্প একাধিক প্ল্যাটফর্ম থেকে বলেছেন যে, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করেছেন। ট্রাম্প জানান, যদি উভয় দেশই সংঘাত বন্ধ করে দেয় তবে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।
ভারত প্রতিবারই ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করেছে: এদিকে, ভারত ধারাবাহিকভাবে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির দাবি অস্বীকার করে আসছে। ভারত বলেছে যে, দুই দেশের সেনাবাহিনীর ডিরেক্টরস জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (DGMO)-র মধ্যে সরাসরি আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এই সামগ্রিক বিষয়ে ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা নেই। এখন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন।