বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ থেকে প্রায় দেড় দশক আগে চাষের জমি বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছিল নন্দীগ্রামবাসী। আর এখন সেই জমিই হয়ে উঠেছে মাথাব্যাথার কারণ। আজ থেকে ১৩ বছর আগে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamta Banerjee) যে রেল প্রকল্পের (Nandigram Rail Project) ঘোষণা করেছিলেন আজ সেই প্রকল্প নিয়েই আগ্রহী অধিকারী পরিবার।
সূত্রের খবর, কাঁথির দেশপ্রাণ থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত এই এলাকা অনেকটাই নিচু। আর এখন সেই জমি ভরাট করার জন্য প্রয়োজনীয় ১৮ লক্ষ কিউবিক মাটি পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটির সূচনা করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাল ২০১০ এর ৩০ জানুয়ারি এই প্রকল্প বাবদ ১২১ কোটি টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছিল।
তবে কাজ খানিকটা আগালেও কিছুদিন পরই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। আর এবার ফের একবার সেই প্রকল্প চালু করায় উদ্যোগী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার মাঝেই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ‘মাটি’। এইদিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার মিশ্র মানছেন, “১৮.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইনের কাজ দ্বিতীয় বার শুরু হয়েছে। দু’টো বড় সেতুর কাজ চলছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে এখানকার নিচু জমি ভরাট করতে গিয়ে। ১৮ লক্ষ কিউবিক মিটার মাটির দরকার, যা কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।”
আরও পড়ুন : সাত সকালে মুকুল রায়ের বাড়িতে ED, চলল ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, বোমা ফাটালেন বিধায়ক পুত্র
তবে কেবল ‘মাটি’র সমস্যাই নয়, নন্দীগ্রামের এই রেল প্রকল্পএ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বহু জমিদাতাও। কেউ দাবি করেছেন, তাদের যে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল তা এখনও পাননি তো কারও দাবি, মেলেনি ক্ষতিপূরণের টাকা। এই দুই সমস্যা মিটলে এবং আর কোনও সমস্যা না এলে দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম ট্রেন পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল।