বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুলিশ প্রশাসনের উপর মানুষের আস্থা নড়বড়ে করে দিচ্ছে ঘুষের অভিযোগ। সম্প্রতি তারকেশ্বর থানার এক মহিলা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠায় প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে। অভিযোগ, এক ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করেছিলেন ওই মহিলা পুলিশ অফিসার। এই কথোপকথনের রেকর্ড করে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন ওই যুবক।
মহিলা পুলিশের ফোন কল রেকর্ড করে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন বিল্টু
সূত্রের খবর, অভিযোগকারীর নাম বিল্টু হাজরা, পেশায় তিনি ইঞ্জিনিয়ার। প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদের জেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নেননি। উল্টে ওই অফিসার তাঁকে ফোন করে মোটা টাকার ঘুষ চান। সেই কথোপকথন ফোনে রেকর্ড করেন বিল্টু বাবু এবং সেই প্রমাণ নিয়ে সরাসরি তিনি মামলা করেন হাই কোর্টে (Calcutta High Court)।
এই মামলায় রাজ্যের জমা দেওয়া রিপোর্টে পুলিশ স্বীকার করেছে যে অফিসার টাকা চেয়েছিলেন, যদিও টাকা নেননি। সরকারি আইনজীবী দাবি করেছেন, তাই তাঁকে বরখাস্ত নয়, সতর্ক করে বিভাগীয় পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, “যে পুলিশ অফিসার টাকা চান, তাঁর কীভাবে তদন্তের দায়িত্ব থাকবে? এটা কি সরকারের নীতি যে পুলিশ টাকা চাইবে? ডিসমিস নয় কেন?” হাই কোর্ট (Calcutta High Court) জানায়, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ফের রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে।
প্রসঙ্গত, বাংলায় পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। অতীতেও একাধিকবার এমন ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশকেও ঘিরে একই রকম অভিযোগে সরব হয়েছে সিবিআই। অভিযোগ অনুযায়ী, দুই কনস্টেবল ‘ডাউন পেমেন্ট’-এ ১১ হাজার টাকা নিয়ে পরে মাসিক কিস্তিতে ঘুষ নিচ্ছিলেন। তদন্তে সিবিআই কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে। এই প্রেক্ষাপটেই বাংলার মামলাটি রাজ্যের প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
আরও পড়ুনঃ শ্রীলঙ্কায় মসজিদে মোদীর দীর্ঘায়ু কামনা, প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে বিশেষ প্রার্থনা বোহরা সম্প্রদায়ের
পুলিশ হল সাধারণ মানুষের রক্ষক। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের প্রধান কাজ। সেখানে যদি অভিযোগকারীকেই ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়, তবে পুলিশের উপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়বে। তারকেশ্বর থানার এই মামলায় হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ প্রশাসনের জন্য বড় বার্তা। আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপে নজর এখন সবার।