‘দুই সপ্তাহের ডেডলাইন’, পেনশন মামলায় রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের

Published on:

Published on:

calcutta high court(41)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চার বছর ধরে আটকে রয়েছে পেনশন। উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গারুলিয়া পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মী। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার (State Government)। আদালতের বক্তব্য, পেনশন এক জন কর্মচারীর অধিকার, সরকারের ‘দয়ার দান’ নয়।

পেনশন মামলায় কড়া হাইকোর্ট | Calcutta High Court

মঙ্গলবার বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যকে বিচারপতির নির্দেশ, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ওই কর্মীর পেনশন পাওয়া সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি কাজকর্ম করে দিতে হবে। তার পর ১৫ দিনের মধ্যে পুরসভাকে পেনশনের টাকা অনুমোদন করার নির্দেশ দিয়েছে।

আদালতের হুঁশিয়ারি আগামী এক মাসের মধ্যে মামলাকারী পেনশনের টাকা না-পেলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে। আদালতের কথায়, ‘‘পেনশন হল একজন কর্মচারীর অধিকার। তা কখনই সরকারের দয়ার দান নয়। তাই সরকার নিজের ইচ্ছামতো পেনশন আটকে রাখতে পারে না।”

বিচারপতি বলেন, “পেনশনের টাকা নিয়ে দেরি করা মানে এক জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর জীবিকার অধিকার এবং সম্পত্তির অধিকার (সংবিধানের ২১ এবং সংবিধানের ৩০০-এ অনুচ্ছেদ) লঙ্ঘন করা।’’ বিচারপতির কথায়, এক জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নিজের পেনশনের উপর নির্ভর করে সংসার চালান। এত গুলো বছর ধরে পেনশন আটকে রাখার মানে সংশ্লিষ্ট কর্মীর জীবনকে অসহনীয় করে তোলা।

Calcutta High Court

মূল ঘটনা:

আদালত সূত্রে খবর, মামলাকারী প্রবীরকুমার ভট্টাচার্য ১৯৮৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়া পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন। ৩৩ বছর ৩ মাসের চাকরি করার পর চাকরিজীবন শেষে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অবসর নেন। তবে অবসরের পর থেকে নানা বাহানা দেখিয়ে পুরসভা তার পেনশনের টাকা আটকে রাখে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

আরও পড়ুন: পুজোর মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিয়ে বড় সুখবর! বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন

আদালতে অভিযোগ, পুরসভা সময় মতো তাঁর সার্ভিস বুক বানায়নি। এই কারণেই পেনশনের কাগজপত্র তৈরি ও অনুমোদনের কাজ চার বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুরসভাও স্বীকার করে নেয় যে পেনশনের সুবিধা প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে। এর পরই দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ওই কর্মীর পেনশন পাওয়া সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি কাজ করার নির্দেশ হাইকোর্টের।