বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা ভোট আসতে আর বাকি হাতে গোনা কয়েক মাস। তার আগেই এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভোটার তালিকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নিয়ে শুরু হল তৎপরতা। কার নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে, কার নাম নেই, এমন খুঁটিনাটি সব তথ্য খতিয়ে দেখতে এবার সরাসরি জেলার জেলাশাসকদের চিঠি পাঠাল কমিশন।
দুই দিক মাথায় রেখে তথ্য সংগ্রহের তদারকি শুরু করেছে কমিশন (Election Commission)
কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২২ লক্ষেরও বেশি। এঁরা কর্মসূত্রে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকেন। এঁদের নাম যাতে একাধিক রাজ্যের ভোটার তালিকায় না চলে আসে, আবার ভোটার তালিকা থেকে নাম যাতে বাদ না পড়ে, এই দুই দিক মাথায় রেখেই তথ্য সংগ্রহের তদারকি শুরু হয়েছে।
চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক শ্রমিক কোন জেলায় থাকেন, কতদিন ধরে বাইরে কাজ করছেন, কী ধরনের কাজে যুক্ত, আর বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, এসব খুঁটিনাটি তথ্য বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে জেলা প্রশাসনকে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলার শ্রমিকরা দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, এই জেলাগুলিতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি গণনা করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) এক কর্তার বক্তব্য, ‘নাম যেন ডুপ্লিকেট না হয়, এবং প্রকৃত ভোটারের নাম যেন বাদও না যায়, এই দুই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করতে হবে। বিহারে যেভাবে SIR করে পরিযায়ী ভোটারদের তালিকা তৈরি হয়েছে, বাংলাতেও ঠিক সেই রকম ভাবেই সার্ভে শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূর শোকজ়ে ব্রেক, পরিচালন সমিতির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল আদালত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে কমিশনের (Election Commission) এই প্রক্রিয়ায় এত বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের তথ্য নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করা কতটা সম্ভব হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।