বাংলাহান্ট ডেস্ক : আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর কেটে গিয়েছে দু মাস। ধীরে ধীরে ওই ‘অভিশপ্ত’ ঘটনা ভুলতে শুরু করেছে মানুষ। এর মধ্যেই নতুন করে দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের (Ahmedabad Plane Crash) অন্যতম পাইলট মৃত সুমিত সবরওয়ালের বৃদ্ধ বাবা। তিনি অভিযোগ করেছেন, দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে তাঁর মৃত পুত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
নতুন করে শুরু হবে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) তদন্ত?
গত ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর তদন্তকারী সংস্থা একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেখানে ক্যাপটেন সুমিত এবং কো পাইলট ক্লাইভ কুন্দরের মধ্যে শেষ মুহূর্তের কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছিল। রিপোর্টে বলা হয়, একজন পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি জ্বালানি বন্ধ করে দিলে কেন?’ অপর পাইলট উত্তর দেন, ‘আমি কিছু করিনি’। যদিও কোন পাইলট কথাটি বলেছেন তা ওই রিপোর্টে স্পষ্ট হয়নি, কিন্তু এরপরেই অভিযোগ ওঠে সুমিতের বিরুদ্ধে।
কাঠগড়ায় মৃত পাইলট সুমিত: একাধিক বিদেশি সংবাদ মাধ্যম সুমিতকেই দায়ী করে ওই দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) জন্য। তাঁর মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। টেনে আনা হয় তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ এবং মাতৃবিয়োগের প্রসঙ্গ। এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন প্রয়াত সুমিতের বাবা পুষ্করাজ সবরওয়াল। পিটিআই সূত্রে খবর, নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেলকে।
আরও পড়ুন : ‘দুই সপ্তাহের ডেডলাইন’, পেনশন মামলায় রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের
কেন্দ্রকে চিঠি পাইলটের বাবার: জানা গিয়েছে, চিঠিতে তিনি লিখেছেন, দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash) সম্পর্কে বেছে বেছেই কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সুমিতের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে। তাঁর নিজের উপরেও শারীরিক এবং মানসিক চাপ পড়ছে। সুমিতের মানহানি ঘটছে। আর ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের সম্মান রক্ষা করার মৌলিক অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন : একটিমাত্র থ্রোয়েই খুলল ফাইনালের দরজা! বৃহস্পতিবার সোনা জয়ের লড়াইয়ে মুখোমুখি নীরজ-আরশাদ
মানসিক অসুস্থতার দাবি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সুমিতের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে ১৫ বছর আগে। তাঁর মায়ের মৃত্যুও হয়েছে তিন বছর আগে। তারপর ১০০-র বেশি বিমান উড়িয়েছেন তিনি। তাঁর ১৫ বছরের কেরিয়ারে কোনও দুর্ঘটনার উল্লেখ নেই। চিঠিতে কেন্দ্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দুর্ঘটনার নতুন করে তদন্ত শুরুর অনুরোধ জানিয়েছেন সুমিতের বাবা। জ্বালানির সুইচ কীভাবে বন্ধ হল তাও জানতে চেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, আহমেদাবাদের ওই দুর্ঘটনায় বিমানের ভেতরে থাকা ২৪১ জন সহ মোট ২৬০ জনের মৃত্যু হয়। প্রাণে বাঁচেন মাত্র একজন যাত্রী।