বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কর্মী এবং অধ্যাপকদের মতো ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের (Health Scheme) অধীনে আনার দাবি তুলে আসছেন স্কুলশিক্ষকরা (Teachers)। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষকদের এই সরকারি হেলথ স্কিমের আওতায় আনার দাবি বহুদিন ধরে তোলা হচ্ছিল। এবারে সেই দাবি উঠল হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
স্কুলশিক্ষকদের মামলা হাইকোর্টে | Calcutta High Court
শিক্ষকদের স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে আনার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে জোড়া মামলা দায়ের করল শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ নামে একটি সংগঠন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) সুবিধার জন্য স্বাস্থ্য স্কিম বা স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার জেরে অনেকটাই চিন্তামুক্ত হতে পেরেছেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে রাজ্যের শিক্ষকরা এর আওতায় আসেন না। এই নিয়েই এবার হল মামলা।
মামলা প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান, আগামী সপ্তাহে মামলাটি শুনানির জন্য উঠতে পারে। নিজেদের দাবিতে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলনও জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই লক্ষ্যে আগামী ১৩ অক্টোবর নবান্ন অভিযান এবং স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচিও রয়েছে বলে জানান কিংকরবাবু।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে বেসরকারি হাসপাতালে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস চিকিৎসা, ওপিডি এবং অন্যান্য খরচের রিইমবার্সমেন্ট মেলে। খরচ ২ লক্ষ টাকার বেশি হলে তার বিল জমা দেওয়ার পর সরকারের কাছ থেকে তা ফেরত পাওয়া যায়। তবে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকেরা।
এখনও সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি। যদিও তারা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকেরা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। যদি ওই টাকা কোনো শিক্ষক না নেন তাহলে তিনি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় সামান্য ভুল অপরাধ নয়, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে স্পষ্ট বার্তা কলকাতা হাই কোর্টের
অভিযোগ, যেখানে রাজ্যের সাধারণ মানুষ এমনিতেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে সেখানে সরকার পোষিত শিক্ষকদের স্বাস্থ্যসাথী পেতে হলে চিকিৎসা ভাতা বাবদ মাসিক ৫০০ টাকা ছাড়তে হচ্ছে। এই নিয়মের অর্থ কি? এই ইস্যুতে তারা একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা না হওয়ায় এবার মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে।